অতীত
মা সারদার কাছে হাতে খড়ি করে
পড়া হয়েছিল শুরু,
সেদিন হতে আজবধী পেয়েছি কত
নিত্য নতুন গুরু।
শ্লেট, পেনসিল, বই-পত্তর
আর খাতা দু-চার টি,
এই সকল এক ঝোলায় ভরে
স্কুলে যেতাম হাঁটি হাঁটি।
একটি মাত্র শ্রেণী কক্ষ ছিল
আর শিক্ষক দুই জনা,
সব শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী একত্রে বসে
হয়ে যেতাম আনমনা।
ছড়ি হাতে শিক্ষক মহাশয়
প্রহার করেছে কত,
মারের চোটে শরীর মোদের
হয়েছে ক্ষত-বিক্ষত।
বর্তমান
বিদ্যালয় গুলি ঝাঁ চকচকে
ডেস্ক, বেন্চ সকল,
শৌচালয় হবে ছাত্র-ছাত্রীর আলাদা
হয়েছে জলের কল।
শ্রেণী কক্ষ হল প্রতি শ্রেণীর
আলাদা আলাদা হয়েছে,
ইলেকট্রিক বাতি জ্বলছে আঁধারে
গরমে পাখা ঘুরছে।
দুপুরে হচ্ছে মধ্যাহ্ন ভোজ
বই-পত্তর দিচ্ছে ফ্রি,
মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য
শুরু হয়েছে কন্যাশ্রী।
যাতাযাতের জন্য সাইকেল দিচ্ছে
পড়ার খরচ দিচ্ছে টাকা,
তবু লেখাপড়া হয় না ভালো
শিক্ষা জগৎ এখনো ফাঁকা।
ভবিষ্যত
ডাস্টার, চক, ব্লেকবোর্ড হটবে সব
ডিজিট্যাল বোর্ড হবে,
অনলাইনে লেখাপড়া করবে
শিক্ষার্থীর হাতে টেব রবে।
বোর্ডে ভেষে উঠবে সকল লেখা
কি বোর্ডে কি টিপলে,
হোম ওয়ার্ক সব আসবে টেবে
ওয়াই ফাই কনেক্ট হলে।
ডিজিট্যাল হোক শিক্ষার জগৎ
ডিজিট্যাল হোক দেশ,
স্পৃশ্যতা হোক বন্ধন মুক্ত
ওদেরও কাটুক ক্লেশ।
সবার হোক সমান সমান
শিক্ষার অধিকার,
শিক্ষার দ্বারা নির্বাচিত হোক
সুযোগ্য সরকার।
রচনা
১৬/০১/২০১৮
নিজ গৃহ কুটির