দেয়াল ঘেষে পিঠ ঠেকে যায় ,দেহে ভীষন ব্যাথা
সপ্তাখানেক ভাত যায়নি পেটে কেউ শুনেনি করুন কষ্টের কথা
মাটি আমার পিতৃতুল্য ভীষন আপন জন
লুটায় পড়ি ,বুকে জড়ায় ধরি ,মাটিতেই নিদ্রা যাপন।
দুঃখের গাঙে ঝাপটায় মরি হারাইয়া সুখের মই
সবে বলে দুঃখের পরে সুখ যে আসে তবে ,গরিবের আল্লাহ কই।
রোদে পোড়া গরম মাথায় ,বাবলার ছায়ায় যখন বসি
দূরের ওই ছাতিম ছায়ায় রাখাল ছেলে বাজায় একখানা বাঁশি।
দূর থেকে ঐ আনসর আসে যেমন আধো শোনা যায়
আঃ কি বাঁশির সুর যেন আমার জান জুড়াইয়া যায়।
এযে মাটির গান, দুঃখের গান, কৃষকের গান ,আমি তারে কাছে ডাকি তবে
দূর হতে উত্তর মিলে আমি রাখাল ছেলে কাছে যাওয়া কি ঠিক হবে..?
দিনের আলো ফুরায় এলো, রাতের আধার নামে
আর কত বয়বে লাঙল, আর কত ডুবে থাকবে কামে
কইলো কিষান কিসের বাড়ি, কিসে ভিটা
সংসার ভাসে দুঃখের বানে, বাড়ি'তো সেই দুঃখ নামক বিষের পিঠা।