একটি দারুচিনি গাছের দেশ
এখন শহর থেকে অনেক দূরে ,হাঁটছি
নিরাপত্তা দেওয়ার কোন রাষ্ট্র নেই এই শহরে
তাই হাঁটছি , দারুচিনি গাছের দেশে।
যদি ভাবি পৃথিবীটা একটা দেশ।
তবে হিংসার প্রেচ্ছাবে। বাদামিবর্ণের,
হলুদ বারুদে পিচ্ছিল কেন এ দেশ
মেঘে ঢাকা পাহাড়ের গা ঘেঁষে নেমে যাচ্ছি, খুব গভীরে যেখানে লাল চন্দনের শহর
পাহাড়ের শৈলিচূড়া চুয়ে নেমে আসে,শীতল বসন্ত।
আমি দারুচিনির বাকল চিবাচ্ছি, ঝাল লাগলে খেয়ে নিচ্ছি ধর্ম।
খুব নিচের মহুয়া বনে ঘুরে ঘুরে, মাতাল হাওয়ায় প্রতিবাদ লিখে উড়িয়ে দিলাম।
মেরুন রঙের আপেলগুলো নরম হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে।
কাঠবিড়ালির ধূসর লোমে ভেসে উঠে
বেলা শেষের গন্ধ
একটি পাহাড়ি মেয়ের চুল চুয়ে অন্ধকার নেমে আসে।
হেঁটে যায় সাঁওতালি মেয়ে গুলো
পায়ে নূপুরে মহামিছিলের চিৎকার।
কে যেন চিৎকার করে বললো
ফিরবার রাস্তায়, চিহ্নিত করে নিও
দারুচিনি গাছ গুলো'ই