ব্যাঙের যেদিন সর্দি হবে, ঠিক তার পরের দ্বিপ্রহরেই
তুমি আর আমি বেরুবো বিশ্বভ্রমণে।
আমাজন থেকে মরুর উদ্যান,
নীলনদ থেকে নায়াগ্রা,
আইফেল থেকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি,
মাউন্ট এভারেস্ট কিংবা সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড
কিছুই রাখব না বাদ।
মায়া সভ্যতা থেকে মেসোপটেমীয়
কিংবা পুণ্ড্রর না জানা রহস্য অন্ত,
সব কিছুর শেষ দেখে ছাড়ব
রচিত হবে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নয়া ইতিহাস গ্রন্থ।
আরেকটু ধৈর্য ধরো,
এখন মাঘের শীত, আষাঢ়ের বর্ষণ শুরু হলেই
নয়া জলে ব্যাঙেরা সানন্দে আরম্ভ করবে স্নান।
দেখবে তার ঠিক কিছুদিন পরে
অবেলায় বৃষ্টির জলে স্নানের দরুন
ব্যাঙ গুলোর সর্দি লাগবে,গলা ভাঙবে
ভাঙা গলায় ওরা ডেকে ডেকে হবে হয়রান।
ততোদিন চলো জীবনানন্দ হয়ে
ঘুরে ফিরি এই বাঙলার মেঠো পথে,
দেখি অশ্বত্থের ছায়ায় জন্মানো দুর্বা ঘাস
কিংবা শীতের সকালের কুয়াশা জড়ানো সরষে,
অথবা বিলের ধারে সাদা ডানার বকের সারি
বা খুঁজে ফিরি দোয়েল,শালিক, ঘুঘুর বাস।
দেখি চলো ভোরের কাকের ছুটে চলা
কিংবা উড়ন্ত সুদর্শনের সাথে কাটাই এক সন্ধ্যা,
হাতে তব হাত রাখো, চোখে রাখো চোখ
হয়তোবা অচিরেই কেটে যাবে
তোমার আমার আজকের এই অর্থ মন্দা।