কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে ফুটিয়াছে আজ
উচ্ছ্বসিত আনন্দের ফোয়ারা ,
খুশিতে বিহবল এখন
সদাই সতেজ প্রাণ;
কেননা সোনার ফসল ঘরে তুলেছে তাহারা ।
আজিকে বোধহয় শান্তি নামিছে
বড় প্রশান্তি কৃষাণ মনে ,
তাইতো পুলকে পূর্ণতা
তাহার প্রাণ সঞ্চালনে ।
পুলকিত বদনে বসিয়াছে কৃষাণ
এলিয়ে দু' পা ,
ঘাটেই গাছের নিচে দখিনা পবনে তাইতো
জুড়ায়েছে তাহার গা ।
ফসলের সমারোহে আজ ভরপুর
কৃষাণের ছোট্ট ঘর ,
আসিয়াছে সোনার ফসল তাইতো কাটিয়া গিয়াছে
কৃষাণ মনের অজানা ধড়ফড় ।
কত কষ্টে কর্ষিছে মাটি
দিয়ে হালের বলদ আর লাঙ্ঘল ,
ফেলিয়াছে শস্যদানা জমিতে তাহার
তাহাতেই দিয়াছে জল ।
কুঁড়ি থেকে গাছ
তাহা হতেই ফুল আর ফল ,
কত অপেক্ষার প্রহর
শেষ হইল ;
জমিতে আসিল অবশেষে কৃষাণের
কষ্টার্জিত ক্ষেতের সোনালি ফসল ।
হাসিমাখা কৃষাণের মুখ ঐ
দেখিয়া সোনার ফসল ,
তাইতো সে পুলকে আত্মহারা
সুখ - বিহবল ।
পাকিয়াছে ফসল কৃষাণের
যাহা দাড়িয়ে দুলিতেছে ঐ জমিতে ,
কাটিয়া তাহা আপন যতনে
তুলিল কৃষাণ তাহার ঘরেতে ।
উঁকি মারিয়া বারেবার কৃষাণ
দেখিয়া লয় সোনার ফসল
সকাল-বিকাল-সাঝে ,
কিছুটা বিশ্রামে যদিও কৃষাণ
ব্যস্ত কৃষাণী ঐ ফসল গোছানোর কাজে ।
স্বামীর মুখের হাসি দেখিয়া
কৃষাণীও হাসিয়া লয় ,
আনন্দাশ্রু কৃষাণ-কৃষাণীর চোখে
ইহা যে সোনার ফসল
তাহাদের ক্ষেতের ফসল;
যারপরনাই হাসিটা মুখে রয় ।