কল্পেছি হিমালয় ধূলিসাৎ হয়ে গেছে
কিংবা অগ্নিঝরা বাষ্প হীম হয়ে গেছে!
তবুও তোমার আমূল পরিবর্তনে
পুরো পৃথিবীর বিস্ময় আমার চোখে!
এখনো গতরে চিমটি কেটে বলি!
তা কি সত্যিই?
না, হঠাৎ কোন পরিবর্তন-আবিষ্কার?
হে, কদম্ব নলিনী তোমার পালটে ফেলা
চক্র আমাকে হিপ্নোটাইজ ই করে।
এখনো ঘোরে আমি!
অপলক তাকিয়ে দেখি তোমায় আর
পরিবর্তীত এক তোমাকে।
অগ্নিঝরা চোখ কিংবা মুখাবয়ব এখন আর দেখিনা;
দেখিনা তোমার জিদ চেপে রাখা আবর্তকে।
কোথায় তারা?
এখনতো আকাশচুম্বী অভিমানও দেখিনা আমি!
এতটা বদলে নিয়েছো?
আমি বিস্মিত! স্তব্ধ; নির্বাক কেউ।
থমকে অপলক দেখে যাওয়া পথিক তোমার পথে।
কি বদলটাই না তোমার!
বড্ড খরচের মানুষটা তুমি আজ বড্ড হিসেবী;
সবকিছুতেই কতটা গোছালো,
আমাকেই তো গুছিয়ে নিয়েছো!
তুমি, আমি ছাড়াও আরো কয়েকজনের বসবাস আমাদের নীড়ে!
মাহী তো মাত্র চরণ দিলো;
মিকি, মাশার কিচির মিচিরে সয়লাব পুরো ঘর,
তোমার স্নেহাশীষে ওরাও এখন তুমিময়!
আমি যারপরনাই অবাক হয়ে দেখি,
কদম্ব নলিনী, একি সত্যিই তুমি?
ওদিকে হাস্নাহেনা, বেলী, গন্ধরাজও
তোমার জলপরশের পথপান চেয়ে থাকে,
জামরুল, থাইপাতা আর জেব্রেন্টিনা
তোমার আল্পনাই দেখি আঁকে!
আমি দেখে যাই আর
হই কেবলই শুধু অবাক;
হে কদম্ব নলিনী,
প্রার্থনায়-সবই যেন তুমিময় হয়ে যাক।
কদম্ব নলিনী! ভালবাসি
বড্ডই ভালবাসি তোমায়।