অধিকারের লড়াইয়ে আজ সব জনতা অস্থির!
এই সময়ে ডাইনি বুড়ির নেই নিশ্বাস স্বস্তির।
জনতার মুখে একটাই সুর- অভ্যুত্থান! অভ্যুত্থান!
এ কী হলো! এ কী হলো! মরকটেরা ম্রিয়মাণ।
গুলি বুকে গুলি বুকে ওই ওখানে মরলো কে?
ইচ্ছে করেই গেলো কি সে গুলি খেয়ে পরলোকে?
পানি নিয়ে বিলিয়ে দিতে মুগ্ধ কেন ভিড়লো আজ?
ডাইনি বুড়ির গুলি খেয়ে পরলোকে সে ফিরলো আজ।
চালাও গুলি চালাও গুলি ডাইনিটার অগ্নিরূপ।
রক্ত পিশাচ ডাইনিটা লুসিফারের ভগ্নিরূপ।
অস্ত্র হাতে পরাজয় ভাববে কেন ডাকাতদল?
রক্তনদী তবুও তারা ভয়ভীতিহীন অকাতদল।
নয়কো পানি ডাইনি বুড়ি পিলে শুধু রক্তকে,
স্বার্থ শেষে গুম ঘরে ফেলে দেয় নিজ ভক্তকে।
ষোলো কোটির রক্ত খাবে এই হলো ইচ্ছে তার।
বিশ্ব শুনে পাগলাটে ঐ বাপুজির কিচ্ছে তার।
ডাইনি বুড়ির রক্ত খাওয়ার চিন্তা নিছক অর্থহীন,
দিন গড়ালে ঠিক হয়ে যায় রক্ত রাখার গর্তলীন।
ডাইনি নিজেই ভীষণ চালাক, ভীষণ বড় ফর্দকার।
দেশ-জনতার দুঃখে ডাইনি হয়ে যায় কর্দকার।
ষোলো বছর পার হয়ে যায় মিটেনি তার গদির লোভ।
বাবার গদি আমার গদি, গদি নিয়ে অধীর খুব।
ডাইনি বুড়ি সরতে হবে, দেশবাসী সব ঢাকায় চল,
দেশ-জনতা হারিয়ে গেছে নেই দেশের চাকায় বল।
ডাইনি বুড়ি সরলে কেবল দেশটা আবার চলবে ঠিক।
সঠিক কথা! সাবধান কুকুর, দেখিস খালি বল্ বেঠিক!
সবার গায়ে লাগছে আগুন গণভবন ঘেরাও আজ।
এখন দেখি সবার মুখেই গণতন্ত্র ফেরাও কাজ।
কিছুক্ষণের মধ্যে হলো নিজ পরিচয় উধাও তার।
বাপের গাঁজার চেতনাটা মাটির নিচে খুদাও তার।
ডাইনি বুড়ি পালিয়ে যাওয়ায় পেলাম মোরা অধীক্ষক।
ছাত্রদের ভয় পেয়ে হলো বিদ্যালয়-ছাড়া অশিক্ষক।
ছত্রিশ জুলাই ইতিহাসে ডাইনি বুড়ির পতন-দিন।
রক্তে লেখা জুলাই মোদের ইতিহাসে বেরঙিন।