অশান্ত চিল বেঁধেছিল বাসা একটি গাছের মাঝে।
একদিন তার মনে দেখা দিল একটি চিন্তা বাজে!
গাছপাড় ধরে সেই ক্ষণ থেকে কোনো পথিক পেলে
পথিকের মাথায় উপর থেকে পাথর ছুঁড়ে ফেলে।
পথিকেরা ভাবে নির্দোষ পাখি না বুঝে করে এই কাজ
ইচ্ছে করেই করবে কেন সে তার কি নেই লাজ?
এসব নেহাতই তুচ্ছ বিষয় পথিকেরা নেয় ভেবে।
কিন্তু কতদিন তুচ্ছ ভেবে আঘাত সহ্য করে নেবে?
একটি নয় দুটি নয় ষোলোটি বছর পর
পথিকেরা সব হয়ে উঠে প্রতিবাদমুখর।
গর্জে উঠেছে সব পথিকেরা পাল্টা জবাব দিতে,
জান যাবে যাক পথিকেরা এখন পড়ে না ভীতে।
গাছ সম্মুখে অবরোধ আজ পাখির শেষ দেখা চাই।
ভয়ে ভয়ে পাখি কীভাবে যে থাকি নিস্তার বুঝি নাই!
পেছন দিয়ে কোন মতে জান বাঁচিয়ে নিল চিল।
কিন্তু তাহার থাকার জায়গা পাওয়া যে মুশকিল!
কোনো প্রাণীই জালিম বলে দিতে চায় না ঠাঁই।
অবশেষে থাকে আশ্রয় দিলো পাগলা কুকুরটাই।
প্রাণী কোলে নির্বাসিত চিল থাকছে কুকুর নিয়ে;
কুকুরটাও তাকে রাখছে সুখে মিছে মায়া দিয়ে।
পথিকেরা আজ নিশ্চিন্তে চলে সেই রাস্তা ধরে
দিন বদলের দিন হয়েছে ষোলোটি বছর পরে।