কেমন আছ তুমি, রাজকন্যা ?
হৃদয়পুরের বাদশাহ আমার'
যার রক্তের মধ্যে তোমার বাস
যার সুখের মধ্যে তোমার চাষ
তুমিই বলো হে লক্ষ্মী
সে তোমার খবর না নিয়ে
থাকতে পারে ?
তোমার ভালো থাকাটা যে
তার বেঁচে থাকার ইন্দ্রজাল ।
আমি জানি, তুমি কেমন আছ
তা জানার যৎসামান্য অধিকার
আমি এবং আমার
সর্বান্তকরণ পরান গহীনের
আমিরও নেই' ।
কষ্ট নিও না, অভিমান আর
অশ্রুকে গুলিয়ে ফেলো না ।
তাদেরকে তাদের কক্ষপথে
স্ব-স্ব দাপটে ঘুরতে দাও ।
বিশ্বাস কর পাগলি, প্রচণ্ড জানতে
ইচ্ছা করছে, তুঁই কেমন আছিস ?
ভালো আছ তো, সুখে আছ তো ?
শান্তি, শান্তি আসে তো
তোমার নকশিকাঁথার ভাঁজে !
না কি আবার প্রহসনে মেতে আছ
না কী ঐ দূর আকাশে
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে
অদৃশ্যের মাঝে দৃশ্যমান কিছু
তালাশে ব্যতিব্যস্ত থাকো ।
কাম-বাসনায় হন্যে হয়ে ভিন্নতা
খুঁজে বেড়াও না তো আবার !
মিছেমিছি স্বামীর সাথে করো কী খেলা
দুর্দান্ত অভিনয়ে মাতো কী সারাবেলা
বালিশ-চাদরে মুখচেপে খুঁজো কী সান্ত্বনা ?
স্বামীর ফাঁদে’ আটকে পড়া মানুষটার
জোরজুলুমের সোহাগকে ভাবো না তো যন্ত্রণা ?
মনে আছে, সে আমায়
জান বলি ডাকিত'
কইলজের মধ্যে পুঁইতা রাইখ্যা
আমায় সে মাথার তাজ করি রাখিত ।
যে আমার লাগি কাঁদিত ক্ষণে ক্ষণে
দেবে কী সে আর বলো অন্য জনে ?
১৫ ১১ ১৬