সেই আটটি বছর আগে
হারিয়ে ফেলেছি যারে
চলছে দায়মোচন, অভিশাপ আর
অশ্রুর নীরব সাতকাহন ।
নিদ্রায় যাওয়ার আগে
রুটিন করেই ভেবে রাখি,
সকাল হতেই আসিত যদি ফিরি,
আসিত যদি কলিজার-টুকরা মানিক আমার
মোর শ্মশানপুরের গেহখানি জুড়ি ।
অথবা বিস্তীর্ণ সবুজ ধানক্ষেত
সোনালী সোনালী আকাঙ্খার চারণভূমি
কৃষাণের অনিন্দ্যসুন্দর স্বপ্নের
আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ধরে
আবার আমি পাই যদি তাঁরে ।
অথবা ব্যস্ততার এক নীরস দুপুরে
দস্যুপনা গিয়েছে হারিয়ে
উদাসী বনের ধারে;
নির্বাক, নির্লিপ্ত, অসহায় আমি
গোধূলির বিষণ্ণতায়
মিলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ব্রত...
হঠাৎ করেই পেছন থেকে ঝাপটে ধরে
আমায় যদি বলে—
শরীরের এ কী হাল করেছ তুমি
নাওয়া-খাওয়া হয়নি ক'দিন ধরে ?
কেতাদুরস্ত ভড়কে যেয়ে
আমায় যদি বলে, কী করেছ তুমি !
কী করেছ মানিক আমার
চোখের নিচে কালি কেন
ঘুমাও-না' ঠিক মতো ?
চুলগুলো এলোমেলো কেন
পায়ের নখ বড় কেন
ঘামের গন্ধ আসছে কেন
করবোটা কী আমি তোমারে
এই ছিল আমার কপালে !
এত শত অধিকার যার
কোথায় পাই, তাঁরে আমি আবার ?
একি আবোল-তাবোল লিখে চলেছি
না কি অন্ধকার এক ঘোরে
বুঁদ হয়ে আছি !
আচ্ছা, পা হতে মাথা অব্দি
নেই কোথা সে ?
দৃশ্যত সে কাছে নেই
তাতে হয়েছেটা কী ?
আমা থেকে তাঁকে বাদ দিলে
আমাতে আর থাকেটা কী ?
২৮ ৫ ২০১৫