এলিয়েন হেসে বলে,
তোমরা কারা?
আর কি হতে পারি
মানুষ ছাড়া।
আবার শুনায় আমাদের
তোমরা কারা?
কি এমন বলিব, পৃথিবী নামক গ্রহের
বাসিন্দা ছাড়া।
হয়েছি মানুষ আদম, হাওয়ার (আ.)
সিবলিং হয়ে।
সহস্র বছর ধরে দু:খ যাতনা
সয়ে।
পথ চলি মোরা ইব্রাহিম, মুসা,ঈসা ও
মুহাম্মদের (স.) আদর্শ ধরে।
পৃথিবীতে আছি মোরা ইতিহাস
গড়ে।
পেয়েছি অগ্রযাত্রা আইনস্টাইন, নিউটন ও ইবনে
সিনার হাত ধরে।
পেয়েছি সভ্যতা রুমী, ইকবাল, নজরুল ও শেক্সপিয়ার গড়ে।
আমাদের ইতিহাস তো দুনিয়া কাঁপানো রুশ বিপ্লবে গড়া।
আমাদের ইতিহাস তো ফরাসি বিপ্লবের বাস্তিল দূর্গে গড়া।
আমরা উজ্জীবিত হই লিংকন, লেনিন, সুলতান সোলেমান
থেকে।
আমরা উজ্জীবিত হই জর্জ ওয়াশিংটনের পদধ্বনি
থেকে।
গড়েছি সভ্যতা গ্রীক, মুঘল ও ওসমানীয়া
সাম্রাজ্যে গড়ে।
আমাদের ভবিষ্যত তো লুথার কিং এর ' আই হ্যাভ অ্যা
ড্রিম' দিয়ে গড়া।
শিখেছি মানবতা মহাত্না গান্ধীর অহিংস
আন্দোলন থেকে।
শিখেছি মনুষ্যত্ব তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ও
কুরআন থেকে।
শিখেছি মনুষ্যত্ব মহাজনদের অমিয় বাণী
থেকে।
হয়েছি মানুষ মদীনা সনদ
থেকে।
হয়েছি মানুষ জাতিসংঘ সনদ
থেকে।
আমাদের সভ্যতা এসেছে প্রাচীন গ্রীক নগর রাষ্ট্র
থেকে।
আমাদের সভ্যতা এসেছে তাজমহলের গম্বুজ
থেকে।
এবার কর্ণকুহরে হেঁকে বলে, এতগুণ
তোমাদের!
তাহলে এমন বিভক্তি কেন তোমাদের
মাঝে?
তবে তোমার কাছে কি বিভক্তির সে ইতিহাস
পৌঁছে নাই?
'পরিচয়' দানে বিভক্তি শুধু, আর কিছু
নাই।
মূলত একটাই পরিচয়, আমরা
মানুষ।
জাতীয়তাবাদে পৃথিবীবাদী, নাগরিকত্বেও
পৃথিবীবাদী।
এই পরিচয়ে আমরা পৃথিবীতে
চলি,
মানুষের দ্বারে ঘুরে একই স্রষ্টার কথা
বলি।