পরের জমি কর্ষণ কইরা কি লাভ!
শুধু শুধু কষ্ট আর সময়গুলান নষ্ট!
এর চাইতে বরং নিজের টাকা দিয়া এক ফালি জমিন কিন্না -
সময় দিয়া ঘর্ষণ কইরা -
পানি বর্ষণ কইরা -
বীজ বপন করলে -
নিজের ফসল নিজের ঘরেই থাকবো!
পাশ থিকা গণিকালয়ের মালিক মোশতাক মিয়া ফুচুত কইরা পানের পিক ফালাইয়া লাল দাঁত বাহির কইরা কইলো -
পরের জমিন ঘর্ষণ কইরা কর্ষণ দেওনই তো বেমালা সুখ আর আনন্দ!
পানি তো বর্ষণ করন লাগবোই!
জমিনের বাইরে বর্ষাবি!
বীজ বপন না করবি!
"শোন্! ভাত ছিটাইলে কাকের অভাব হয় না!"
কি লাভ গাঁটের পয়সা খরচ কইরা ভরণপোষণ দিয়া গাভিন পালনের!
তার চাইতে বরং দুই তিন শ' টাকায় যদি নিত্য নতুন "কচি ডাব" খাওন যায়-
তাতে আর মন্দ কী!
ডাগর নয়না আগর বানু ফিক করে হেসে দিয়ে তার নাগর মোশতাকের গায় চিমটি কাইটা কয় -
''তুমি আর ঠিক হইবা না মোশতাক!''
আমি কইলাম, গাঁটের পয়সা খরচ কইরা ভরণপোষণ দিয়া গাভিন পালনে লাভ আছে মোশতাক মিয়া!
এইটা টাকা দিয়া কিনন না, এইটা হইলো -
"মোহরানা" দিয়া এক পবিত্র "অর্জন"!
নিজের গাভিন নিজের কাছেই থাকলো,
না অন্য ষাঁড়ে ওরে বিয়াইলো, না হইলো ধর্ষণ!
নিজের টাকা দিয়া এক ফালি জমিন কিন্না -
সময় দিয়া ঘর্ষণ কইরা -
পানি বর্ষণ কইরা -
ওই জমিনে বীজ বপন করলে -
ফসলগুলান পরম পবিত্র হইবো,
সঠিক পরিচর্যা দিয়া "জাত" বানাইতে পারলে
নিশ্চিত পাইবে তুমি স্বর্গের মালিকানা -
স্বয়ং খোদা তা'য়ালা তোমারে দিবেন দর্শন!
_____♦_____
রচনাঃ- ৫ / ৩ / ২০২৪ ই, মঙ্গলবার,
মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।