আমার কি কোনো দোষ ছিলো সেদিন?

আমি নিয়ম করে প্রতিদিন তোমার বাসায় যেতাম
তোমার ছোট্ট ভাইটাকে টিউশন করাতাম!

তুমি প্রতিদিন আমাকে নাস্তা পরিবেশন করতে!
তোমার বাবা পড়ানোর শেষ সময়ে এসে একেকদিন একেকরকম গল্প শোনাতেন!
কোনোদিন দেশের গল্প!
কোনোদিন ইতিহাসের গল্প!
তাঁর প্রতিটা গল্প এসে শেষ হতো রাজনীতিতে!

একদিন তোমার বাবা-মা গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে,
বাসায় তখন তুমি আর তোমার সাত বছর বয়সের ছোট্ট নাবালক ভাই!

আমি আমার রুটিন মত তোমার বাসায় গেলাম তোমার ভাইটাকে পড়াতে,
শুধু কি সেদিন? -
এমন তো আরও অনেকবার হয়েছে!
কিন্তু তুমি কেনো সেদিন ভিন্নরূপে মূর্তমান হলে!

চা দেওয়ার ছলে ইচ্ছে করেই হোঁচট খেয়ে পড়লে আমার উপর!
তোমার ছোট্ট ভাইটাকে বললে -
যা, দ্রুত গামছা নিয়ে আয়, তোর টিচারের গায়ে চা পড়েছে!
তোমার অবুঝ ভাইটি দৌঁড়ে গেলো পাশের ঘরে -
আর তুমি তোমার ছোট্ট ভাইটিকে একা রুমের ভেতর রেখেই দরোজা আটকে দিলে বাইরে থেকে!

আমি তোমার মতলব বুঝতে পারলাম!
তৎক্ষণাৎ দ্রুত প্রস্থান করলাম!
তুমি পেছন থেকে আমার টি-শার্ট টেনে ধরলে!
টি-শার্টটি একটুখানি ছিঁড়ে গেলো পেছনদিক থেকে!

আমি আরও সবেগে প্রস্থান করলাম,
দ্রুত ধাবিত হলাম সদর দরোজার দিকে,
আমার সঙ্গে না পেরে -
হুড়মুড়িয়ে তুমি এসে বাড়ি খেলে দরোজার চৌকাঠে,
ফিনকি দিয়ে তোমার কপাল বেয়ে রক্ত ছুটছিলো!
আটকে রাখা ঘর থেকে তোমার অবুঝ ছোট্ট ভাইটার একনাগাড়ে চিৎকার ভেসে আসছিলো!

আমি বেরিয়ে এলাম মুক্ত বাতাসে!

যদি ভালোই বাসো -
পেছন থেকে জোর করে টেনে ধরে নয়,
সামনাসামনি এসে, চোখে চোখ রেখে বলো - ভালোবাসি!
খুব! খুব ভালোবাসি!

প্রেম! এ তো পবিত্র এক জিনিস!
ভালোবাসা! এ তো রবের দেওয়া আমানত!
এক বেহেশতী অনুভূতি!
জুলেখার মতো এই প্রেম অপবিত্র করতে এসো না প্লিজ!

আমি ইউসুফ হবোই - (ইংশা আল্লাহ্)
যদি তুমি জুলেখা হও!

                  _____♦_____

- আমি ইউসুফ হবো - নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম নয়, নবী ইউসুফ হওয়া উদ্দেশ্য নয়।
ইউসুফ হওয়া বলতে এখানে ব্যভিচারসহ সকল হারাম এবং গুণাহের প্রতি ঘৃণা মনোভাব সম্পন্ন সুন্দর ও পবিত্র চরিত্রের ইউসুফ বোঝানো হয়েছে।

- রচনাঃ- ২ / ৩ / ২০২৪ ইং,
শনিবার,
- মসজিদুল ফালাহ্ জামে মসজিদ,
রোড নং - ৪, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।