বৃষ্টি, তোমার অবিরাম পতনের আবেশময় শব্দে, ছন্দে, রাগে ও গীতিময়তায় হয়ত সৃষ্টি হয়েছিল রাগশ্রেষ্ঠ মেঘমলহার! তোমার আহবান উপেক্ষা করার শক্তি নেই আজ আমার, তাই জানালা খুলে দিচ্ছি—
আমার অনুভূতিতে তুমি জেগে থাক, যেমন করে জেগে আছ বাহিরের আকাশের, বাতাসের, বৃক্ষের অনুভূতিতে। আমি তোমার আশীর্বাদ-সিক্ত শরীর নিয়ে যখন হেঁটে চলি কোন চাবাগানের মেঠো পথ দিয়ে কিংবা আমার দৃষ্টিগোচরে যখন তুমি থাকো আর আমি থাকি একটি চলমান রেলগাড়ির মাঝে একাকী, তখন
আমার সুখ ও যন্ত্রনাগুলোকে জ্বালিয়ে রাখতে ইচ্ছে হয় তোমার আর্দ্রতায়I
সূর্যরশ্মি থেকে অনেক পেয়েছি, পূর্ণিমা দিয়েছে কিছু আলো I ঐ বিষণ্ণ দেবদারু গাছটির কাছে, নারিকেল গাছের নীচে আমার পুকুরটিকে দেখতে চাই— এমূহুর্তে সে উদ্বেলিত, আলোড়িত তোমাকে পেয়ে!
সে আজ শ্রাবন-মেঘে কবি নজরুলের নটবর I