ভুঁড়িওয়ালা কবি দেখে লোকে করে ঠাট্টা
চায়ে কবি হাবুডুবু, পান খান আট টা,
চুল নামা ঘাড় অবধি সিঁথিকাটা পরিপাট
চোখে পুরু চশমা বাঁকা গোঁফ বিনা ছাঁট।
কবিতার খাতা হাতে ঘেমে যান বারবার
লিখে যান কত কি যে কাটকাট মারমার,
বাহবা'র রোল পড়ে তাহা শোনা মাত্র
ভূড়িওয়ালা কবি তো নয় ঠাট্টার পাত্র।
আছে তার নাম-যশ, সনদের মহা স্তুপ
পদ আর পদকের গুনতিতে লোমকূপ
দিনরাত এক করে লেখালেখি আড্ডায়
জুতোক্ষয়ী শ্রম সেকি যেতে পারে গাড্ডায়!
তাই আজ কবি সে, কে তারে আটকায়
হেসে খেলে কবিতার রোজ ঘাড় মটকায়।।