(পথিক ও কবি দুজনেই উদাস দৃষ্টিতে আকাশ পানে তাকাইয়া রহিল, অনেকক্ষণ আাকাশে মেঘ আর নীলের খেলা অবলোকন করিয়া দেহের শ্রান্তি জুড়াইয়া পুনঃ পথে নামিল)
পথিকঃ ওগো কবি এতোদিন
পথে পথে ঘুরে,
পাইনি ঠিকানা মোর
এ ভুবন জুড়ে।
পরিজন সাথী বলে
ভেবে গেছি যারে,
কত বড় ফাঁকি যে তা
হাসি তাহা স্মরে।
সু-সময়ে অ-সময়ে
আয়ু করে ভাগ,
জীবনের থরে থরে
কেটে গেছি দাগ।
যোগ বিয়োজন শেষে
কোথা নিজ ধন?
সংসারে খুঁজে মরি
আপনার জন।
নিজ বোঝা নিজ কাঁধে
চলি বয়ে বয়ে,
সুখ-দুঃখ, হাসি-ব্যথা
বুকে পেতে লয়ে।
কত দিন, কত কাল
হয়ে গেছে পার,
বিফলে সকলই গেল
বুঝেছি এবার।
কবিঃ সত্যাসত্যে, সুখে-দুঃখে
নশ্বর এ ধরা,
প্রেম যেথা চিরসত্য
বাকি ভাঙ্গা-গড়া।
সে-ই প্রেমে ওগো পথিক
কাব্য রচে যাই,
অমরাবতীর অমিয় ধারা
ধরায় পেতে চাই।
আমার লেখা তোমার চলা
না হয় দুদিন পর,
যাবে থেমে নিয়ম মেনে
হবে কালান্তর।
মুছে যাবো দুজন শেষে
চির ক্ষুধা লয়ে,
পথ আর কাব্য রয়ে যাবে
কালের সাক্ষী হয়ে।।