ডুবু-ডুবু তরী, নিকষ আঁধারী, বহুদূরে তীর রেখা
ক্ষণে ক্ষণে মেঘে বিজলীরা লিখে মৃত্যু-দীঘল লেখা
গরজায় বাজ, ক্ষূধিত আকাশ হুঙ্কারে উঠে ডাকি
ঢেউয়ে দোলে তরী, ভাঙ্গে মাস্তুল, মাঝি ঘুমালে নাকি!
জেগেছ বিনিদ্র কত দিবা-রাতি স্বপন দোলায়ে চােখে
কত ঢেউ চিড়ে এগুলে সমুখে কত জল পিছে রেখে
রৌদ্র ঝরেছে মাথার উপর, ডুবে গেছে কত তারা
কত বয়ে গেল সূদূরে- সবেগে উজান ভাটির ধারা
কত আশা বুকে পুষে------
উড়ায়েছ পাল আপন দুহাতে বন্দরের উদ্দেশ্যে
ঢেউয়ে আজ কোলাহল বাজে, বায়ে যায় পাল ছিঁড়ে
চারপাশে জেগে আঁধার সান্ত্রী রুধিতেছে পথ ঘিরে
ক্লান্ত কি তুমি বেয়ে বেয়ে তরী প্রহর গুণে-গুণে?
ক্লান্তি-হতাশা পাড়ায়াছে ঘুম আজিকার দূর্দিনে?
জাগো মাঝি, জান ধরে বাজি হাল ধর নিজে টানি
তরঙ্গে তরঙ্গে ফূঁসূক যতোই বেদনার নীল পানি
ভূলোনাকো দিক, হাতছানি দিয়ে ডাকে ঐ বন্দর
জাগো, জাগো মাঝি, আঁধার পরেই কাঙ্খিত দীপ-ঘর।।