চাপড়াই বুক, মাতম উঠে, গেয়ে যাই মর্সিয়া
মর্মে বাজে বেদনার গীত, শোকাতুর হয় হিয়া
'দুলদুল' ফিরে ময়দান হতে, দেহ শরে বিক্ষত
মনিব তার হয়েছেন শহিদ, হন নাই অবনত।
কাঁদে কারবালা নিখিল ধরা হায় হোসেন রবে
এ শোকগাথা অন্তরে গাঁথা চিরকাল রয়ে যাবে,
নয়নের জলে স্মরে এ দিন বেদনা মলিন প্রাণ
সহজেই ভুলি সেই ইতিহাস, ত্যাগ-আত্মদান।
শাসন ভয় জুলুমের কাছে নোয় নি'ক শির যার
তার তরে কাঁদি অথচ ভুলি পথ আদর্শ তার,
জালিমের সাথে করি আপোষ ভয়ে অহর্নিশ
লোভ লিপ্সায় সুনীতি ছেড়ে মিথ্যার গিলি বিষ।
যায় যাক্ শির তবু প্রতিবাদে লড়েছেন সেই বীর
আমরা শোকে বিলাই শিরনী, মিছিলে করি ভীড়,
সাজাই তাজিয়া, নওহার সুরে ফেলি চোখের জল
জখম করি আপনার দেহ, লোক দেখানোর ছল।
কান্নার ভারে দেখি না চোখে নবীর নয়ন মনি
সত্যঝান্ডা তুলেছেন ধরে, শহিদি নিলেন মানি,
এজিদ সেনা আজো ময়দানে, অত্যাচারীর দল
সীমারের চোখে লোভের দৃষ্টি, আঁটে নয়া কৌশল।
ক্ষমতার অশ্ব চেপে ছুটে ওরা, হাতে খুনের দাগ
ইমামের ডাক প'শে না কানে, নাই কেহ সজাগ!
আহাজারি করে গাই মর্সিয়া, হায় হোসেন! হায়!
বিশ্ব নিখিল উপহাস করে, করুণার গান গায়।।