বুকের মাঝে ঈষৎ সুখ "মধ্যনগর" নাম
নগর কোথায়! ভালবাসার এক পল্লী গ্রাম
সুতোয় বেঁধে সরু নদী রেখেছে তার ধারে
সবুজ শ্যামল গ্রামটি সদাই জাগছে তারি পাড়ে।
ছবির মতো গ্রামটি আমার, নাই নগরের ঢেউ
সবুজ পটে তুলির আঁচড় কাটলো যেন কেউ
সোনার হারে হীরের ঝলক ছড়িয়ে অবিরাম
নয়ন জুড়ায়, জুড়ায় এ প্রাণ “মধ্যনগর” গ্রাম।
রেখার মতো পথটি গাঁয়ের টানছে পথিক কত
গাছগাছালি ছড়িয়ে শাখা যেন ধ্যায়ান রত
পাখপাখালির অভয়ভূমি, নিবিড় সখ্যতায়
সকাল-সাঁঝে মুখর মুখে কিচিরমিচির গায়।
মাটির সুধায় ঘর বসতি মাটির মত মন
স্নেহ-কোমল এ গাঁয়ের সকল মানুষ জন
নাই ভেদাভেদ উঁচু নিচুর বংশ-জাতের দ্বেষ্
সবাই সবার আপনজনা, নাই বিভেদের লেশ।
গ্রামটি আমার, গ্রামের আমি, এক নাড়ীতে বাঁধা
সুখে দুঃখে জড়াজড়ি, আমার হাসা-কাঁদা।
স্বজন সুজন পরিজনের নিবিড় আবাসভূম
এ গাঁয়েরই শীতল কোলে বেলা শেষের ঘুম।।