উৎসর্গঃ নাহিদা উর্মিকে
বাল্মীকি যেমন ডাকাত ছিলো
হৃদয় জুড়ে ছিল হিংসা,ক্রোধ
আর ছিল ধর্মান্ধ।
একদিন সে ঐশ্বরিক মহিমায়
করুণা লাভ করল ঈশ্বরের।
হিংসা ক্রোধ সব ধুয়েমুছে গেল।
বাল্মীকি প্রেমে পড়ে গেল ঈশ্বরের।
সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার প্রেম!
ঈশ্বরের প্রেমে পাগল মন,
ভক্তি ভরে লিখে রামায়নণ।
আমিও কলিকালের বাল্মীকি ছিলাম।
হৃদয়ে কোন প্রেম নেই,মায়া নেই।
আমি ভালোবাসতে জানিনি,ভালোবাসিনি।
তুমি এসে রংতুলির আচর কেটে
ভালোবেসে হৃদয় রাঙালে একটু একটু করে।
সবই তোমার ইচ্ছামত।
আমি ছিলাম তোমার ইচ্ছের নাটাই সুতোর
ইচ্ছে ঘুড়ি।
আমি কাঁদতে জানতাম না।
তোমার কথা ভেবে দু’চোখে বেয়ে যখন অশ্রু নামে,
তখন দু’হাতে অশ্রু মুছে ভাবি,
আমি কাঁদতে পারি,কাঁদতে শিখেছি!
আমি তো তোমাকে ভালোবেসে কাঁদতে শিখেছি।
তুমি কি পেয়েছো বল?
যে স্বপ্নগুলো তুমি আমি সাজাতাম
আজ আমি তার একছত্র অধিপতি।
আমি তোমাকে ভালোবেসে স্বপ্ন পেয়েছি
তুমি কি পেয়েছো বল?
তারা গুনে কেটে যায় কত নির্ঘুম রাত,
শুক্লপক্ষ কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের জ্যোৎস্নায়।
আমি তো ভালোবেসে একটি নক্ষত্র শোভিত রাত পেয়েছি,
তুমি কি পেয়েছো বল?
আমি এখন ভালোবাসি,ভালোবাসার মানে বুঝি,
আমি কলিকালের বাল্মীকি।