ঊষায় শকুন্তের ডাক কান্তিমান,
তা শুনে অসাড় থেকে ওঠে কৃষাণ।
চাষি কে পত্নি দেয় থলে,
বোঁচকা নিয়ে চাষা চলে।
কর্ষকের পানির বোঁচকায়,
আছে কাঞ্জিকা ও তোয়।
ভানু উদয়ের আগে পৌছায়,
কৃষক, পদ্মার বালুকাবেলায়।
পদ্মার ঐ কিনারায়,
শ্রমিক হয় ক্রয়।
গেরস্ত নিনাদে দুই'শ টাকা দেব বলে,
কিছু চাষি তার পিছু চলে।
পদ্মা তটিনীর কলকলিয়ে জলে,
পার হয় কর্ষকের দলে।
তেপান্তরের মাঠের সমাপ্তে,
তারা পৌছায় মালিকের ক্ষেতে।
আমোদে সকলে কাজ করে,
কিছুক্ষণ পরে সকলে ভোজন করে।
দ্বিপ্রহে হয় তাদের ছুটি,
বেঁধে মাথায় লয় ঘাসের আটি।
এই মাঠে আছে কিছু পর্ণশালা,
সেখানে গিয়ে মিটায় তেষ্টার ও বিশ্রামের জ্বালা।
পদ্মার তীর ভূমিতে বালু রাশি রাশি,
প্রভাকরের কিরণে তা মনে হয় বালুর হাসি।
পাদুকা নাই যাদের পদে,
উত্তপ্ত বালুতে সে কাঁদে।
তারা মেহেনত করে এসে
ভাগজোতের বড় বট বৃক্ষের নিচে বসে।
গেরস্ত দেয় তাদের পারিশ্রম,
ভুলে যায় সেই পরিশ্রম।
মোহনা ভরা উল্লাসে,
রওনা দেয় বাড়ির উদ্দেশ্যে।
২১-৯-২০১৫