সে এসেছিল 'বিশ্বাস' হাতে নিয়ে,
আমিও তাই বিশ্বাস করেছিলাম,
বিশ্বাস করেই তাকে গ্রহণ করেছিলাম এই জন্য যে,
সে আমার বিশ্বাস রাখবে।
বিশ্বাসের জন্যই জন্ম নিয়েছিল শ্রাবন্তী
আজ থেকে সাড়ে তিন বছর আগে,
ঈশ্বরও তাকে বিশ্বাস করেছিল যে-
সে 'মা' হিসেবে বিশ্বাস রাখবে।
কিন্ত সে বিশ্বাস ভঙ্গ করল,
বিশ্বাসঘাতকতা করল আমার সাথে,
আমার মেয়ে শ্রাবন্তীর সাথে,
আর সৃষ্টিকর্তার সাথে।
নতুন করে অবৈধ বিশ্বাস স্থাপন করল-
আমারই এক সহকর্মীর সাথে,
দীর্ঘ নয় মাস ধরে,
তারা আনন্দে মেতেছিল একসাথে।
আমিও তা জানতে পারিনি,
জেনেছিল আমার মেয়ে,
কিন্তু তার আধো আধো বাংলা
আমি বুঝতে পারিনি।
যেদিন ধরা পড়ল আমারই হাতে
তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,
আমাকে ফাকি দিয়ে পরকীয়া
আমি মানতে পারি নি।
সরিয়ে দিলাম তাকে কাগজে কলমে
সরিয়ে দিলাম হৃদয় থেকে,
মুছে ফেল্ল শ্রাবন্তীও তার 'মা' কে-
তার অন্তর থেকে।
উল্টো আমার নামে দু'টি মামলা করল সে,
আমি করিনি কিছু,
তার প্রমিক আছে নিরাপদে
সে আমার বিরুদ্ধে গেল বেকে।
জানি বিশ্বাসঘাতকতার বিচার পাব না আমি
বিচার পাবে না আমার মেয়ে,
বিচার কি পাবে না স্রষ্টা নিজেই-
বিচারের মালিক যিনি?
মা হারা মেয়ে আমার বিচার প্রার্থী আজ
অসহায় বাবা হয়ে করতে পারিনি কিছু,
যদি কেউ করে দেয় বিচার-
তার কাছে থাকব ঋণী।