বিশ্বাসে মিলে সার, তক্কে মিলে মহা বিচ্ছেদ,
এ কথন করো না বিশ্বাস আর
জন্মদাত্রী যার পরলোকগত,
রক্ষক যার নেই অবশিষ্ট,
সে যে নিজেই এতিম,
ঘুমায় রাস্তার ধারে।

বার বার তারেই তবু
আলিঙ্গন করে বাঁচতে চাই আমরা।
বিশ্বাস নিজেই মহাচোর,
কেন জোর করে-
তাকে কাছে ডাকো?

বিশ্বাস তো একটা গল্প, একটা রূপকথা,
যা শুনেছি বড়দের মুখে,
কভূওকি সুখে,
স্বস্তিতে বা শান্তিতে রেখেছে সে কখনো?

প্রশ্ন কর নিজেকে,
এই ছোট্ট জীবনটাতে কতবার হেরেছ তার কাছে?
হেরেছে বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা,
ডুবেছে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য।

বিশ্বাস তো অনেক আগেই পথহারা,
সেতো নিজেই অসহায়, পঙ্গু আর মাতাল।
তাই আজ উঁচু গলায় বলার সাহস করছি,
বলতে পারো দু:সাহস,
ভূলে যাও বিশ্বাস, যখন মরে গেছে তার মা।



আমি বিশ্বাস করিনা নিজের দন্তকেও,
সুযোগ পেলেই আমার জিহ্বাকে কামড়ে দেয়।
বিশ্বাস করিনা নিজের জিহ্বাকে,
কখন বেঁফাস কথা বলে ফেলে।
বিশ্বাস করিনা নিজের (বেফাঁস) কথা,
কখন তা বিপদ ডেকে আনে।
বিশ্বাস করিনা বিপদকে, কারণ
সে হঠাৎ করেই আসে।
হঠাৎই বিশ্বাস করিনা কাউকে,
যখন সে প্রতিশ্রুতি দেয়।

বিশ্বাস বাঁচাতে পারে না সম্মান,
বাঁচাতে পারে না শ্রদ্ধা, ভক্তি,
বিশ্বাস বাঁচাতে পারে না বিশ্বাসকেই।

বিশ্বাস বাঁচাতে পারে না ভালবাসা,
হয়তো ভালবাসাই কখনো কখনো,
তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।

বাঁচিয়ে রাখেও অল্প সময়ের জন্য,
যতক্ষণ না তার মূমুর্ষূ অবস্থায় ব্যবহৃত,
অক্সিজেনের পাত্রটি শুন্য হয়ে যায়।

আরো জোরে বলতে চাই, বলতে চাই আরো জোরে,
বিশ্বাস মরে গেছে।
এখনই দাফন না করলে পঁচে যাবে যে,
গন্ধ ছড়াবে চারিদিকে।

যদি কারো দু:সাহস থাকে,
নিজেকে, শুধুমাত্র নিজেকে বিশ্বাস করার মতো দু:সাহস,
তবে আমার বাঁধা দেওয়ার কিছু থাকবে না।