পথভ্রষ্ট শব্দরা একাট্টা হয়ে দখল করে খাচ্ছে পান্ডুলিপির শরীর,
আজকাল তারা কবিতার স্বীকৃতি চায়।
অথচ এইসব শব্দের শরীর থেকে মুছে গেছে-
কৃষক-মজুরের সুডৌল পিঠ গড়িয়ে পড়া সুগন্ধি ঘামের ঘ্রাণ,
বিপ্লবীর চাকচিক্যময় রক্তের ঝলকানি,
মজলুমের হাতে পোষা ফুলের সৌন্দর্যের কথা,
মুছে গেছে হাভাতে মরা দুর্ভিক্ষ পোহানো কঙ্কালের জলরং,
অথবা প্রেমিকার নিঃশ্বাস অবধি সাঁতরে যাবার অনুভূতি।
.
ওরা এখন ফ্যাসিবাদী স্বরে উচ্চারিত হয়; ওদের ভিতর কেবল দখলদারিত্বের বক্রতা,
ওদের পরতে পরতে এখন স্বৈরতান্ত্রিক ব্যকরণের দাঁড়ি-কমা, কোলন, ড্যাস,
অথচ-
যে শব্দের মাথায় কৃষক-মজুরের অধিকার নিশ্চয়তার সোজা মাত্রা নেই,
বিপ্লবীদের উলঙ্গ শ্লোগান প্রতিধ্বনির মাখরাজ নেই;
শোষিত, অভুক্ত, অধিকার হারা সমস্যমান কান্নার ব্যাসবাক্য নেই-
যে শব্দদের নেই প্রেমিকার চুলের সুবাসিত সন্ধির যৌগিক উচ্চারণ।
আমার মায়ের রক্তা ঝরা মানচিত্রের কসম- তাদের দেবোনা পাণ্ডুলিপির এতটুকু অধিকার,
সব শ্রেণী পেশা কিংবা শ্রেণীহীন হাত তুলে নিচ্ছে দেখো রক্তের কলম,
পান্ডুলিপির শরীর থেকে, কেটে দেবে তাদের সারিবদ্ধ লাইন;
পথভ্রষ্ট শব্দরা কবিতার স্বীকৃতি পাবেনা।
.
২২/০৮/২০২৩