আমার পাঠশালার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব দেরাজদ্দীন সর্দার
আল্লাহ তাঁকে ভাল রাখুন সুখে রাখুন না ফেরার সেই পার
অমন দয়াময়ী সোনার শিক্ষক এখন তেমন মেলে না আর।
সেই ছোটবেলায় আমরা যখন মাত্র পঞ্চম শ্রেণী্র ছাত্র ছাত্রী
তখনই তিনি শিখিয়েছিলেন একা পাখির এক জঠিল অংক।
অংকের কথাগুলো ছিল এরূপ, এক বনে সন্ধ্যার ম্লান আঁধারে
আ্নমনা একা এক পাখি বসেছিল নিঝুম গাছের মগ ডালে।
এমন সময় আঁধার সীমানা ভেঙে পাড়ি দেয়া এক ঝাঁক পাখি
ঝাপটে নামে পাশের উঁচু গাছে কক কক খক খক কোলাহলে।
পাক পাক বাক বাক হাঁক ডাক পাখা ঝাঁপটানি কিছুক্ষণ চলে
একা পাখি দেখে ওরা কত সুখি সঙ্গী-সাথী ঝাঁক বাঁধা দলে।
এক সময় নিজের অজান্তে ধীর কৌতূহলে জিজ্ঞাসা করে বলে
কোথা থেকে এসেছ ভাই, তোমরা কতজন আছো মোট দলে?
উত্তরে একজন হেসে উঠলো বলে, আসছি যত, আসবে তত
তার অর্ধেক, তার পাই সাথে তোমাকে নিয়ে মোরা শত ভাই।
প্রশ্নঃ কতগুলো পাখি উড়ে এসে বসেছিল সেই পাশের গাছে?
ছোটবেলা পিতার আদরে শেখানো বিষন্ন সে একা পাখির অংক
আজো ভুলিনি, ভোলা যায় না তারে, স্মৃতি তেমনই ধরে আছে।
সেই অংকের মত এখনো ডানপাশ সমান বামপাশ মিলাতে যাই
আঁতকে উঠি যখনই বুঝি আমি ঝাঁক বাঁধা পাখিদের করো নাই
অন্যের অংকের সহজ হিসাব মিলাতে যোগের কাতারে পাই ঠাই
প্রতিদান বাম থেকে ডান; ফলাফলে নিঃশেষে বিয়োগ হয়ে যাই।
-----------------------------------------------------------------
নোটঃ পাই - এক চতুর্থাংশ। কবিতাটি পড়ে উত্তর দিলে বেশী খুশি হব।