(বিশ্বের সকল নারীকে উৎসর্গ):
-----------------------------------
বেড়ার আড়ে কে দাঁড়িয়ে আমায় দেখিস বোন?
আয় ছুটে আয় পথের ধারে নদীর পাড়ে
তোঁদের তরেই আমার মিছিল সকল আয়োজন
হিংস্র দানব দস্যু পিশাচ রুখতে এখন
তোঁদের আছে অনেক প্রয়োজন।

ছলা কলায় নয় রে এবার
বাহু বলে রাহুর সাথে করতে রণাঙ্গন
আয় ছুটে আয় বীর কেশরী, সিংহী রূপী
আয়রে আমার বোন।
এই ধরণী বৈরীমুক্ত করতে তোঁদের অনেক প্রয়োজন
আগুয়ানি মিছিল তলে আয় ছুটে আয় দলে দলে
শক্ত করে বাঁধ রে এবার বক্ষেরই বাঁধন।
দেখুক জগত! নারী এখন নয় অবলা
চোখের জলে নয় শীতলা
প্রয়োজনে হয় উথালা লড়তে রনাঙ্গণ।

ঘরের বাঁধন ছিন্ন হলে নামতে জানে সিন্ধু তলে
পাতাল ফুঁড়ে আনতে জানে স্বাধিকারের পিঞ্জরেরই ধন
নদীর মত বইছে যারা ক্ষেপলে তাঁদের পাগলী ধারা
উথাল পাথাল তুফান জাগে ভাঙন লাগে সকল পাড়ে রে
শক্ত মাটি ধ্বসায় বাণে সকল ভাসায় স্রোতের টানে
নতূন করে পলীর চরা আবার তাঁরা গড়তে জানে রে
স্বদেশ ভূঁমির মাতৃ টানে দস্যু সনে লড়তে জানে
মরতে জানে রে।

ভাইয়ের সনে বাপের সনে সবার সনে রে
রক্ত সাগর উজিয়ে আনে মুক্ত স্বদেশ
খোলা আকাশ পিতৃভূমি রে।
আয় রমণী রণাঙ্গিনি আয়রে আমার মা ভগিনী
মিছিলের এ আকাশ তলে
বাঁচার মত বাঁচতে হবে পশুদের এ বন্য ভবে
শক্ত হাতে যুদ্ধ করে রে।