নারী এখন সব চেয়ে সহজ লভ্য এক গিনিপিগ
ভোগের আসনে, পরীক্ষাগারে, হিম বা ডোম ঘরে
কবিতার খাতায়, গল্পের পাতায়, উপন্যাসের কথায়
গবেষণার ঘট, পট, টিউব, খাতা, কলম, নোটবুক
নানা যন্ত্রে। বিজ্ঞাপনের ফলকে, পণ্যের মোড়কে
সর্বত্র চলছে নারীকে কাটা ছেঁড়ার এক মহোৎসব।
কি করে নারীকে আরো উল্টেপাল্টে ভোগ করা যায়
ইচ্ছেমত পিয়ে ছুড়ে ফেলা যায় তাঁর খালি বোতল।
কেউ চশমা লাগিয়ে, কেউ খুলে, কেউবা অন্ধ চোখেই
নারীর ভূষণ খুলে হাজার এ্যাঙ্গেলে করছে পর্যবেক্ষণ-
কোন আগুন কি উত্তাপে কোন চুল্লিতে তারে পোড়ালে
সে হবে আরো বেশী উপাদেয় আরো বেশী নরম
কোন ফার্নেলে কত হর্সে ঘোরালে তার ত্যজষ্ক্রিয়তা
বেড়ে হবে আরো নেশাল, আরো মাতাল আসক্তির মন।
ফলাফলে কেহ লিখে- নারী পদ্মিনী, শংখিনী, হস্তিনী, চিত্রাণী
কেহ বলে প্রতারিণী, কলঙ্কিনী, নাগিণী, নীলকন্ঠী বিষমণি
কেহবা বলে সে পুরোটাই নেশার বোতল; বিবেক ক্ষয়িনী।
তাঁর ভেতরকার মমতাময়ী রূপটি এখন বড়ই উপেক্ষিত।
আমরা যেন ভুলেই গেছি! সে সংসার লক্ষ্মী মন্দিরের প্রতীমা
জগত সৃষ্টির অংশী, গর্ভধারিনী, জন্মদায়িনী, দুঃখহরণী মা।
নারীও তাঁর মূল আসন হারিয়েছে অনেকটা নিজের ভুলেই
বিজ্ঞাপণ, পরীক্ষণ, পণ্যের বাজারে স্বেচ্ছায় নিজেরে তুলেই।