নীলো তোমার নাকের নোলক
আমার বুকের ভেতর দোলকের মত এপাশ ওপাশ করে দোলে
অশান্তির এক দোলন দোলায় নিরন্তর উদাস করে তোলে।
আমি কাজে মন দিতে পারি না নীলো, কাজের কথা যাই ভুলে
ও দোদুল্যমান নোলক দোলা আমার ধ্যান জ্ঞান কর্ম মূলে
কুঠারাঘাত করে, আমার সব কিছু গোলমেলে করে তোলে
আমি কাজের কথা, সংসারের যথা-তথা সব কিছু যাই ভুলে।
আমি ঘুমাতে গেলেও ঘুম আসতে পারি না নীলো!
ওই নোলক দোলা আমার চোখের পর্দাগুলো সরিয়ে ছড়িয়ে ফেলে
চাঁদের আলো নদীর ঝিলিমিলি হুহু করে মস্তিষ্কে আসে চলে।
আর দেয়ালে ঝুলানো পোড়ামুখী ওই পুরানো দেয়াল ঘড়িটার মত
ওও এখন কেমন এক রকম টক্ টক্ ঠক্ ঠক্ শব্দ করে
সারা রাত বুকের ভেতর আপন মনে দোলে-
অজানা এক অশান্ত দুঃচিন্তায় আমাকে বড় বিভোর করে তোলে।
দুনিয়া তো অনেক বদলে গেছে নীলো, তুমিও বদলে যাও!
ওটাকে বদলে ফেলো! আমাকে বাঁচতে দেও! বাঁচতে দাও!
অলংকার আর সৌন্দর্য তো নিজের চেয়ে পরের আনন্দেই বেশি
আর তা যদি হয় অন্যের ক্ষতির কারণ, সংসার উচ্ছন্নের মূল
তাহলে তো তাকে বদলে ফেলাই ভাল!
দোহাই! তুমি ওটাকে বদলে ফেলো, বদলে ফেলো নীলো!
আমি সংসারে আর দশজন মানুষের মত স্বস্তিতে বাঁচতে চাই।