তোরা সব বাংলা মায়ের দামাল ছেলে, পাশ কেনো ভয় চোর-ডাকাতে?
গুলিতে উড়িয়ে দিবি মাথার খুলি, নাক ফাটাবি মুষ্ঠি হাতে।

তোরা তো বায়ান্নর ঐ যোদ্ধা ভাষার, পলাশীতে শেষ নবাবের;
লড়াই এ হারতে পারিস; ছাড়তে পারিস হাজার জয়ও মীর জাফরের।
তবু তুই বিদ্রোহী বীর, উন্নত শির, যেমন ছিলি একাত্তরে,
জয়ে তোর, উচ্ছ্বসিত সব জনতার মিছিল হবে বাদ ফজরে।

তোরা সব গুড়িয়ে দিবি অত্যাচারীর গর্বে রাখা মাথার মুকুট,
শোষণের শিকল ভেঙে, বাংলাদেশের মুখের হাসি রাখবি অটুট।
এভাবে থাকিস না আর ঘরের কোণে, একলা ভেবে লাভ কী বলো?
তারচে’ আয় বেরিয়ে সবাই মিলে, দল সাজিয়ে যুদ্ধে চলো।

মানুষের ঘুম চোখে নেই, বিনিদ্র রাত; ‘কখন যেন আসছে কারা!’
সারাটা রাত জেগে তাই, চিন্তিত মন ঘুমের ঘোরে দেয় পাহারা।
কত আর দূর্নীতিবাজ চোর-ডাকাতে দেশের টাকা করবে চুরি?
তোরা বীর তরবারিতে শান দিয়ে রাখ, যুদ্ধে তাদের কাটবে ভূড়ি।

তোরা তো বাংলা মায়ের দামাল ছেলে, পাশ কেনো ভয় চোর-ডাকাতে?
তোরা তো বিদ্রোহী বীর, উন্নত শির, নাক ফাটাবি মুষ্ঠি হাতে।


(কবিতাটি লেখা হয়েছে: 21:10, 01.08.2022 – 00:36, 02.08.2022)