আবার ছুটে যেতে চাই সবুজ শ্যামল গাঁয়ে,
হেটে দূর বহুদূর, নরম মাটির পরশ লাগিয়ে পায়ে।
গ্রাম্য ছেলের দস্যিপনায়, দাপিয়ে বেড়ানো মাঠে ঘাটে,
এখানে যে বন্দীনিবাসের মত অসহ্য দিন কাটে।

লাগেনা ভালো নিয়ন বাতির শহর আর,
স্মৃতিপটে আঁচর কাটে সেই দিনগুলো বারবার।
বিলে - ঝিলে ধরেছি মাছ, মেতেছি শত খেলায়,
দুরন্তপনা সময়গুলো ভাসে স্মৃতির ভেলায়।

নিত্য বিছানায় চোঁখ বুজলেই স্বপ্নের ওড়াওড়ি,
সেই শীতলক্ষ্যা, নৌকা,আর মেলায় কেনা ঘুড়ি,
ফসলের ক্ষেত, কৃষাণের আশাতুর চোঁখের দৃষ্টি,
আম কুড়ানো দিন,যখন মুষলধারে নামে ঝড় - বৃষ্টি।

শহুরেদের জবাব দিলাম কথার ফাঁকে,
আচ্ছা,কি পাস গাঁয়ে? কিবা এমন থাকে?
গাঁয়ে - সুশীতল বাতাসে প্রাণভরা নিঃশ্বাস,
আর, সেখানেই যে আমার মমতাময়ী মায়ের বাস!

তাই, একটু শান্তির খোঁজে,এই অস্থিরতার ভবে,
যেতে চাই গাঁয়ে, বলো- আবার মিলবে ছুটি কবে?

♦♦♦♦♦||||||♦♦♦♦♦
রচনাকাল- ১০ এপ্রিল,২০১৪ ইং
সময়ঃ ভোর ৪:২০ মিনিট।

সামনে পরীক্ষা, এবারই প্রথম পহেলা বৈশাখ আমার গাঁয়ে করা হবে না!
খুব খারাপ লাগছে।
তাই, একটু লেখার চেষ্টা করলাম!