কত অল্প সময়ে কেটে গেলো এক বছর
আজো স্বপ্নের মতো মনে হয়।
মনে হয় এইতো সেদিন কোনো এক বর্ষণমুখর শারদ সন্ধ্যায় পাঠিয়েছিলাম নিমন্ত্রণ।
যা ছিলো হৃদয়ে আমার
ছিলোনা তা সেই শব্দগাথায়,
তবুও হৃদয় দিয়ে অনুভবে পাঠোদ্ধার করেছিলে
তুমি সে ভাষার।
তোমার দেওয়া"বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল"
আমার কন্ঠ আর ঠোঁট ছুঁয়ে ছিলো বারে বার।
আমার "ভরা বাদর মাহ ভাদর শুন্য মন্দির"
সেই অবধি হয়েছে পূর্ণ, পেয়েছি তোমায়।
সেই সেদিনের পর থেকে
তোমার আলতো ছোঁয়ায়
আর মায়ায় ভরা চাহনিতে
আমি হারিয়েছি আমাকে,
আছো অহর্নিশি আমার সাথে।
একটু জড়িয়ে ধরবো বলে
রাতের শয্যাতেও তোমাকে খুঁজি
ঘুম কে দিয়েছি নির্বাসনে।
মানব মানবীর প্রথম স্পর্শে এমন হয় বটে
শরীরে জাগে শিহরণ কারণে অকারণ।
মনের সমুদ্র জুড়ে
চলে পরস্পরের সঞ্চরণ।
এতো গেল প্রথম প্রেমের অনুভূতি
প্রেমের সূচনা থেকে তার তেমনই প্রকৃতি।
আমার প্রথম প্রেম কেমন ছিল
ভুলেছি এতদিনে।
হয়তো এমন অনুভুতি আসে নি
কখনো তীব্র বেগে।
হয়তোবা আমার জীবনে প্রথম প্রেম বলে ছিলনা কিছুই।
হে জন্মাবধি সুন্দর হাসির মেয়েটি,
তোমার মধ্যে আমি খুঁজে পেয়েছি
কল্পনায় গড়া আমার কাঙ্খিত মানবী।
তোমার অকৃত্রিম সরলতা
ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা
তোমার মনের গভীরতা আর
আপনজনের জন্য সদা ব্যাকুলতা
আমায় মুগ্ধ করেছে,
ওই দুর্লভ হৃদয়ের বাসিন্দা হওয়ার বাসনায়
ভালোবেসেছি তোমায়।
তবে প্রেমের সূচনা সেই প্রথম দেখায়
যখন ভেনাসের উত্তরসূরীর চোখে রেখেছি চোখ
দেখেছি তার মায়াময় চাহনি।
চাইনি আমি রাজকন্যা বা সুন্দরের প্রতিমূর্তি,
ভালাবাসা পিপাসু এই আমি হাজার বছর ধরে খুঁজে ফিরেছি আমার স্বপ্নে গড়া মানবীকে।
আধেক জীবন অবসানে
অপেক্ষার হলো সমাপন।
দেখা হলো আমার স্বপ্নের সাথে,
আঁখি যার মায়ায় ভরা, চাহনি তার হৃদয়হরা
ভালোবাসার-আদর স্নেহমাখা চির নির্ভরতার।
দিলে আমায় অধিকার,দূর থেকে ভালোবাসার,
নেওয়ার ও দেওয়ার, হয়তো বিলম্বের মাসুল।
আমার মনটাকে তুলে দিয়েছি তোমার হাতে
যতনে বিশ্বাসে আপণ করে রেখো তারে সাথে।
প্রেমহীন বালিকা রোদহীন ফুলের মত ঝরে যায়,
আমার বালিকাটি যেন চিরটিকাল প্রস্ফুটিতো ফুল হয়ে রয়।
সুখে আছে যারা, সুখে থাক তারা
মোরা হবো সমব্যথী, দুঃখের দিনের সাথী।
কী পেয়েছি বা দিয়েছি তোমায় কতটুক!
নয় তাহা,ভালোবেসেছি তোমায় এই আমার সুখ।