নিভু নিভু সূর্যের আলোতে অসহায় প্রেমিকার অবহেলার নয়নপাতে
হারিয়ে ফেলেছি আমি আমার কষ্টে অর্জিত ভালোবাসাকে।
অস্থির আকুলতায় সমবেদনা কুড়াবার আশায় এসেছি হেথায় ।
সমব্যাথী যারা বুঝবে তাঁরা অনাহুত প্রেমিকের বেদনা, বিমুখ হয় যখন প্রেমিকার হৃদয়।....

তোমার হৃদয় জুড়ে করে বিচরণ,
একজনই সে ভাগ্যবান,
লভিয়াছে তব ভালোবাসা কৃত্রিম নিয়মের আরোপিত অধিকারে।।
তবুও তোমাতে গুনগ্রাহী বিমুগ্ধ আমায়
ঐ হৃদয়ে দিয়েছো আতিথ্য অনেক সাধনায়।
অতিথি সেবায় ছিলো যা কিছু নিবেদিত আন্তরিকতায়,
আছে গাঁথা তা আশ্রয়দাত্রীর সরল হৃদয়ের স্বভাবসুলভ উদারতায়।
অতি যত্ন আর ভালোবাসায় লালিত এ অতিথি
দীর্ঘ দিবস রজনী করিছে বিরাজ নিরবধি,
চোঁখে স্বপ্ন তার সারা জীবনের অতিথি হবার
অধিকারবিহীন ভাবনাহীন মেনে চলা সীমারেখার।

কিন্তু হায় রক্ত মাংসে গড়া আবেগে অনুভূতিতে
ভরা
মানব হৃদয় বারে বারে আত্মবিস্মৃত হয় এই বুঝি পরম্পরা।
আপন সীমানা ছেড়ে তব আশ্রয়কে ভেবে নিয়ে প্রশ্রয়
প্রত্যাশার বীজাঙ্কুর বাড়িয়েছিল হয়তো মূলে ও শাখায়।

শীতের শেষ বিকেলে এক জনারণ্যে
অথবা বলা যায় স্বপ্নে লালিত বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্রেমমাখা এক আসন্ন সন্ধ্যায়
বুকভরা ভালোবাসা আর প্রত্যাশার ডালি মেলে
অপেক্ষমান এক রূপান্তরিত প্রেমিক উচ্ছাসিলে
তাঁর প্রেমিকার আগমনে, বারে বারে মনে চাইলো
ছুঁই
বেশী কিছু নয় শুধুমাত্র ঐ  কর্তব্যনিষ্ঠ  মিষ্টি করপল্লবদ্বয়,
হায় তখনি সেথায় প্রেমের দেবতার বিমুখতায়
তব অবচেতন মন হলো আবার সচেতন,
বেঁধে দিলে সীমানা, নির্লিপ্ততা  প্রকাশিয়া
ঐ দুটি ডাগর কালো চোখের উদাসীন চাহনির ভাষাতে।
.....
...সে প্রেমিক পুনরায় পর্যবসিত হলো অতিথি রূপে।