কবি লিখেছিলেন "৩২ বছর পেরিয়ে গেল
কেউ কথা রাখেনি"।
কথা রাখেনি বটে তবুও সান্তনা এই যে
আক্ষেপের সে বেদনা জেনেছিলেম সবাই।
আমার বুঝি ৩২ প্রহর গত হলো প্রায়
হৃদয় জুড়ে তীব্র বেদনায় আর বিরহ ব্যথায়।
বিরহ ব্যথায় বা বলা যায় ভালোবাসার দীনতায়!
বসন্তের শেষে খররোদে উত্তপ্ত হয় নগর
হঠাৎ জ্বলে ওঠা দাবানলে ছাই হয় সবুজ বন,
তেমনই প্রেমের দেবী হয়ে কাছে এসেছিলে,
আদরে-যত্নে মন উজাড় করে ভালোবেসেছিলে।
আজ পোড়া অন্তর জুড়ে হাহাকার
কী যেন খুঁজে ফিরি অহর্নিশি বিশ্বচরাচর।
দীর্ঘ দিনের যাপিতো জীবনের খোলস ফেলে
প্রজাপতির মতো কোমললতা হয়ে এসেছিলে, করেছিলে আমায় নিবেদন ভালোবাসার আহ্বানে,
পূর্ণতা পেয়েছিল শরীর মন সে মহার্ঘ্য দানে।
তোমাতে আচ্ছন্ন ছিলাম আমি কতো দিবস রজনী
এমনি করে কখনো কেউ আমায় ভালোবাসেনি।
ভুলে ছিলাম আমি আমায়, পেয়েছিলাম তোমায়
নিরন্তর মুঠোফোনের বার্তায়, কফির পেয়ালায়
ছোট ছোট যত্ন আর হৃদয়ের উষ্ণতায় ।
তোমার অকপটতা আর দুষ্টামি ভরা কথায়,
ত্বরিত আলিঙ্গনের জড়তাহীন কোমল স্পর্শতায়
বারে বার হারিয়েছিলাম আমি আমায়।।
দুঃখের পরে সুখ আসে সুখের পরে খেদ
ভালোবাসা আসে, তারপরেতে বিরহ বিচ্ছেদ?
সাথী হয়েছিলাম তোমার খেয়ালী খেলাঘরের
সাঙ্গ হলো সে খেলা, শেষ হল কী তোমার ইচ্ছের?
খোলস ভেঙে প্রজাপতি হয়ে এসেছিলে
সত্যিই ভালবেসেছিলে নাকি মধু খুজেছিলে?
জানিনা আমি এসব কিছুই, ভালোবাসার অনলে
অন্তর পুড়েছে আমার, অশান্ত হয়ে আছে হৃদয়।
ছিলাম সিক্ত আপন ভুবনে, ভালোবাসার বিনিময়ে
হলাম রিক্ত, চারপাশে শূন্যতার অনুভূতি মনে।
দোহাই লাগে উত্তর দিও-বলিও হেতু তোমার,
দোষী হলে শাস্তি দিও অপরাধের আমার।
অপরাধ না জানিয়ে সাজা নয়তো বিচারের বাণী
দণ্ডদাতা ও দণ্ডিতের এ যে মহা আত্মগ্লানি!
হয়তো কষ্ট পাব তবুও মাথা পেতে নেব,
যেমন বলবে আমায় তেমন হয়েই রবো।
ভালোবাসার দাবি নিয়ে না হয় আসবো না আর
এ জীবন সায়াহ্নে সম্মুখে তোমার ,
এর চাইতে বড় শাস্তি কিবা আছে দেওয়ার?
তবুও রইবে অধিকার নিরবে ভালোবাসিবার!
এইটুকু হয়ে থাকুক সান্তনা আমার।।