তোমাতে আচ্ছন্ন আমি
এমন মাতাল করা বৃষ্টির দিনে
তোমাতে আচ্ছন্ন আমি
মাটিতে আকাশ রচনা করা শরতের কাশবনে।
তোমাতে আচ্ছন্ন আমি
হেমন্তের বিরহী সন্ধ্যায়,ফুলশয্যার বসন্তে,গ্রীষ্মের দীর্ঘ বিকেলে।
এমনি করে মাস-ঋতু-বছরের চক্রে চলেছি খুঁজে তোমায় অনন্তকাল ধরে।
সেই চির পুরাতন তুমি, বার বার এসেছো ফিরে নব নব রূপে।
তোমার আগমনে মিষ্টি ঘ্রাণে মুখরিত হয় বাতাসের হৃদয়,
শীর্ণকায় কৃষ্ণচূড়া সেজে ওঠে টকটকে
লাল রঙে,
রসালো নুয়ে পড়ে তার ফল ভারে,
বর্ষা ঝংকার তোলে ফসলের মাঠে।
তোমার বিরহে শীতের সন্ধ্যা
পৃথিবীর বিষন্নতা নিয়ে আমার দুয়ারে কড়া নাড়ে, কেঁদে ফেরে মন, গ্রীষ্মের বিকেলগুলো হয়ে ওঠে
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর।
সন্ধ্যাটা কেমন ছিল কিভাবে বুঝাই তোমায়!
সারাদিন বিরামহীন বৃষ্টির পরে নিঝুম সন্ধ্যায়
শুধু তুমি ও আমি যেন বিশ্বচরাচরে আর কেউ নাই।
নদীর পাড়ে ভাটির টানে ঢেউ ভাঙ্গে বারে বারে
কল কল ছল ছল শব্দে বিটোফেনের সুরে।
ইন্দ্রপুরী থেকে স্বর্গ রচনার বার্তা নিয়ে
বয়ে যায় বাতাস অবিরাম শীতল পরশে।
সেই চির পুরাতন স্বপ্নের মতন
চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে একান্তে সন্ধ্যা যাপন।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে, মনে হবে শেষ হয়েও হইল না শেষ,
সেই ছোট গল্পটি...
যা অবিস্মরণীয় এক সন্ধ্যায় ভালোবাসার মধুর রঙে স্মৃতির পাতায় লেখা হয়েছিল
তা এমনি করেই স্বপ্ন হয়ে
মনের পর্দায় চিরসবুজ থাকুক,
সময়ের সাথে নব নব রঙের আল্পনায় হোক রঙিন,
এই ক্ষণে স্বপ্নের কাছে এই আমার একান্ত নিবেদন।