এ এক মায়ায় মাখা,বিষাদে ভরা
প্রেম আর বিরহে পূর্ণ নিদারুণ সৌন্দর্যের পূর্ণিমা।
আকাশ আর প্রকৃতি উজ্জ্বল জোছনায় মাখামাখি,
ঝিঁঝিঁর অবিরাম সুর ঝংকার আর আলোর প্লাবনে
চুপচাপ দাঁড়িয়ে ভিজতে থাকা বৃক্ষের দল
রাতের নির্জনতাকে আরো বুঝি
নিস্তব্ধ করে তুলেছে।
এ এক অন্য জগৎ! বোধ হয় তা আধ্যাত্মিক
বা পরলৌকিক, যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত
জীবনকাল ও তার সমস্ত শাখা-প্রশাখাকে
বিপুলা পৃথিবীর ছোট্ট মঞ্চে অতি ক্ষুদ্র ভূমিকায়
সামান্য চরিত্রে পর্যবসিত করেছে।
মৃত্যুর মাদকতায় পরিপূর্ণ এমন ভরা জোছনায়,
এমন মোহনীয় আলোয়-এমন গা ছমছমে রাতে,
চারপাশে বিশ্বচরাচর জুড়ে কালের গহ্বরে হারিয়ে ফেলা প্রিয় সকল নিকটজনের
অশরীরী আত্মাকে অনুভব করতে পারার মতো
দুর্লভ থেকে দুর্লভতর এই সময়ে,
মানসলোকের কল্পনার সৌন্দর্যে গড়ে তোলা
প্রেয়সীর কোলে মাথা রেখে এমন প্রেমমাখা লগ্নে জোৎস্নাস্নান করার ঐকান্তিক বাসনামণ্ডিতো এ ক্ষণে,
এমন মাতাল করা ঝিম ধরানো আলোকছটায় ,
ধূসর আকাশের নিচে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ
শৈশবের সুন্দরতম স্মৃতি আর বার বার ভুলতে
চাওয়া সবচাইতে ক্লান্তিকর ইতিহাসের
শিকড়সম জন্মভূমিতে,
হারানো শৈশব ফিরে পাওয়ার আকুলতায়
সদ্য নির্মিত গৃহ প্রাঙ্গণে একাকী বসি অনুভবি-
এই প্রথম পূর্ণিমায়-এমন যৌবনময় ভরা জোছনায়,
মৃত্যু? সেতো অমৃত সমান ।