মনে আছে তার সেই দিনটার,
পথ ভরা শুধু পানি।
আকাশের মাঝে হৈ হুল্লর,
বাতাসেতে কানাকানি
বালিকা তখন হাসিতে হাসিতে,
বলে উঠে চল যাই।
প্রেমের স্রোতে গা ভাসিয়ে,
প্রেমে মরা গান গাই।
এই বলিয়া স্নিগ্ধা তখন,
হাত টেনে নিলো কোলে।
তখনো তাহার, কল্প লতার,
লাজুক ঠোট টি দোলে।
দিন কেটে যায়,রাত চলে যায়,
আমার মনেতে ভয়!
বালিকার নাকি বাবা মায়েরা
বিয়ের কথা কয়।।
বালিকা কাঁদিয়া,আদ্র ভাসিয়া
বলে "ওগো শুনো জান,
আমারে নিয়ে পালিয়ে চল,"
আমার পকেটে টান।
বালিকারে বলি,আজ বাড়ি যাও,
পরে দেখি কি করার,
পকেট বুঝিয়া, সুযোগ খুঁজিয়া,
কাজ হবে বিয়ে পড়ার।
এই শুনিয়ে বালিকা তখন,
বাড়িতে চলিয়া যায়।
উপরে হয়ত, খোদা যত,
কৃপণের গান গায়।
কে জানে বা,সেদিন রাতেই
বিয়ে হয়ে যাবে তার?
এতদিন যারে ভালবেসেছিনু,
সেই দিয়ে গেল মার।
হটাত, বছর খানিক ঘুড়িয়া,
কোন এক ঘটা সন্ধ্যায়,
পাশের টেবিলে, হোটেল কেবিনে,
দেখি কারে যেন ধান্দায়।
একি, এযে তুমি,
কত সুন্দর, মোটাও হয়েছ বেশ!
তোমায় ভাবিয়া,ধোয়াযে টানিয়া,
আমার এ দেহ শেষ।
এই ছেলে কে,কাচ্চা নাকি?
বেশ ভাল তো দেখতে"!!
চুল পরিপাটি করিয়ে দেবে তো?
ভাল যদি কিছু শিখতে..
"এই যে আমার,দাদা মহাজন,
খুব ভাল মরে বাসতো।
বোনের পাশেই মন রাখিয়া,
ভাইয়ের মতন হাসতো"
এ!! বলে কি?
পাগল নাকি?
বধু বলি হারি মিথ্যে?
হায়রে গোপাল!! মন্দ কপাল,
ভুলে গেছে সব সত্যে।
তাহার জন্য, এখনো কোন্ন
ঘরে আনি নি কো বধু।
শোক গেথে তাই,গান গেয়ে যাই,
লোকে ব্যাচেলার বলে শুধু।
তারপর, আর সাথে বালিকার,
হয় নি কোন দেখা।
বরষার জলে,চোখ টলমলে,
আমি ভিজে চলি একা।
শুনেছি সেদিন, সুখেই আছে,
সাত নাতি পুতি তার জানি।
আমিই শুধু রোজ ব্যাচেলর,
সে হয়ে গেছে নানি