ওরাও কথা বলে।
আমায় সঙ্গ দেয়, সঙ্গী হয়ে।
কতটা ছন্দময় সে সঙ্গগুলো!!

উদাস সময় ক্লান্ত যখন,
রাত্রি দেবীর গল্প যখন-
হারিয়ে যাবার কথা বলে শেষ হয়,
তখন ওরা আসে।
ডেকে ওঠে।
গীটারের টুং-টাং এ।
হেসে ওঠে রুপালী চাঁদ হয়ে।
আর, আমি?
আমিও গল্প বলি।
হেসে উঠি।
গান গেয়ে ভালবাসা জানাই।


ওরাও তখন চুপটি করে,
নীলের চোখে লাল কে ধরে-
বসিয়ে দেয়।
ওদের সব কিছুই সুন্দর।
বড্ড ভাল লাগে আমার।

ওদের পায়েও পায়েল বিরাজ,
কাঁচা সোনালী পায়েল।
শুভ্র-কমল, নিটল পদে
রোদে মাখা পায়েল টা-
দুলতে থাকে।

ওরাও ভালবাসে।
জড়িয়ে ধরে ধোয়ার বেশে।
নীরব ঘরের কোণায় বসে।
মাঝে মাঝে অধর ছোঁয়,
দারুণ শীতল উষ্ণ সে ঠোট।

তখন বড্ড বুকে লাগে।
মাথায় লাগে।
নিউরন গুলো পথ ভুলে যায়।
দেহের মাঝে ঝিম এসে যায়।
মনের মাঝে কামিতা সেজে
ডুব দিয়ে যায়।

ওরাও চলে যায়।
শূন্য যেথায় লুকিয়ে থাকে,
আর, অংক করে।
"এবার এক দুই তিন....."

ওরাও ফিরে আসে।
বেলা শেষে..
সবুজ ময়লা চাদর ঘেসে।
সাদা ফয়েলের দেহের ভিতর
কেঁচি -তামাক ট্রিমার-পটে,
চূর্ণ হয়ে, শিশির ঝেড়ে।


অতঃপর, আমি আবার তাকে
আলতো করে কাছে টেনে নেই।
ঠোটের ভেতর ঠোটের খেলায়
পুড়িয়ে দেই।
প্রেমের আগুন লাগিয়ে দেই
তার শুষ্ক ফয়েল দেহে।

তারপর!
সে আমায় আলিঙ্গন করে
স্মৃতির খাতায় ফিতে জেকে দেয়,
বুকের মাঝে শুয়ে থাকে।
ধোয়া হয়ে।