আমি হেঁটে চলেছি বিরামহীন,পৃথিবীর পথে পথে।
পেছনে কত পাতা ঝরেছিল,হাসিতে আর কাঁদিতে।
রাখিনি হিসেব এই জীবনের স্রোতে,শুধু ধেয়ে চলা।
এখানে মানুষ ওখানে ফানুস,তবু যেন আমি একেলা।
শূন্য সম বক্ষের ডাকে যদিও'বা,কখনো হারাতে চাই,
পশ্চাতের এক সাদা রুমাল মোরে,দিবে'যে আটকা'ই!
মাঝে পড়ে আমি জ্বলে-পুড়ে ছাই!কি উদ্ভট এ বাঁধন!
পেছনে চন্দ্রের ঝিকিমিকি আর,অগ্রে সেতারা'র বন।
এই চলেছে এখন অবধি,ক্ষণ জীবনের দীঘল পথে।
যদিও কখনো হবেনা বলা,কিছু কথা কাহারো সাথে।
তবুও আমি নির্বাক হেঁটে যাই,জানিনা কিসের মায়ায়!
হাঁপিয়ে গেলে প্রশান্তি খুঁজি,ঝরে পড়া শুকনো পাতায়।
আমার জন্য'ই যেন বেঁচে থাকি আমি নিত্য চুপিচুপি!
হয়না লেখা ঘটনা বহুল সংসারে জীবনের পান্ডুলিপি।
করিনি হিসেব কি পেয়েছি আর,পাইনি চেয়ে এই পথে,
দেবার ছিল আর কত কি,হাটের কিনারায় যেতে-যেতে!
তবুও ধেয়ে চলি অধরা'দের ছেড়ে আর,শূন্যে বাঁধি ঘর!
নির্জন কানে বাজে আজব সঙ্গীত যার,অদৃশ্য লিপিকর।
পথিমধ্যে কতক বনফুল আর ঢোল কলমির ভালোবাসা,
বাঁচিয়ে রাখে মোরে সেই দুই জোড়া নয়ন শূন্যে সর্বনাশা!
তাঁরা ও বেঁচে থাকে পৃথিবীর প্রান্তে মিলিয়ে জীবন খাতা।
ক্ষমা করো সুস্মিতা মানস হরিণী বলি,কাটিয়ে বিষন্নতা।
ভালো থেক তোমরা এ জাদুর শহরে যেন,চন্দ্র সূর্যের মত।
মাঝে থেকে আমি হতে চাই প্রিয়,একটু আলোয় শিহরিত।
দূর হতে জানাই ভালোবাসা ঢের,সঙ্গে যাতনার বিদায়।
হয়তো আর হবেনা দেখা এই পৃথিবীর আলো-ছায়ায়!
যদিও কাঁদে স্মৃতি কাতর মন নিজেকে মানিয়ে নিও ঠিক।
অনুভবে মোর ভালোবাসা ময় এই পৃথিবীর চারিদিক।