আমাকে নিয়ে প্রত্যহ তোমরা,এমন করছো কেন ভাই?
এ সংসারে কোনদিন কী,বিবাদ করেছি আমি অযথা'ই?
বোধের উদয়ে কাহারো কী আমি,করেছিলাম কভু ক্ষতি?
তবে কেন তোমরা কেড়ে নিতে চাও মোর,সাজানো বসুমতী!
তোমাদের ডরে সমাজে আমি চলেছি পুতুলের মত!
হতে চাইনি গঞ্জের মোড়ল কিংবা,মহা পন্ডিত বিখ্যাত।
প্রকৃতির রঙে হাসিনি আমি,ভুল ধরো যদি তোমরা জেনে!
অতীব দুঃখে কাঁদিনি একটু,যদি বলো বিষ লাগে দুই কানে।
জাগ্রত ছিলাম আমার ছায়া গুটাতে তোমাদের অগ্র থেকে।
শাশ্বত পাপ নয়তো আপনি'ই,ধ্বংস করিতাম প্রাণটা'কে!
অমাবস্যার অন্ধকার কত কাল,মেখেছি আপন গায়ে।
গাঢ় হয়ে কত দীর্ঘশ্বাস জমেছে আমাকে কুরে কুরে খেয়ে।
তবুও চাইনি এক ফোঁটা জল ধার,নিদারুণ পিপাসায়।
বাঁচতে চেয়েছি আপনার বলে,নহে কাহারো অনুকম্পায়।
যাহা আছে তা নিয়েই আমি,শুকরিয়া জানাই বিধাতার।
জীবনের তরে তোমাদের কাছে আজ,চাই একটু অধিকার।
হরণ করোনা স্বাধীনতা আমার,ঈষৎ করো প্রেম।
বিনিময়ে জানখানি দেব,পণ করিলাম আমি মোসলেম।
সাচ্চা বলছি কতদিন দেখিনা আকাশের ঐ বাতি!
কত সুন্দর তাই না বলো ভাই,এই জীবনের বসুমতী।
তোমরাও থাকো আমিও থাকি,বেঁচে থাকার পৃথিবীতে।
রাগ না করিলে ভাব জমাব,জোসনার আলোয় একসাথে!
বৃষ্টির সাথে কদমের দোলায় চালতা ফুলেরা আবডালে,
ডাকছে কত বিনা যত্নের ঘাস ফুল বাতাসে হেলে দুলে।
তাই আজিকে বিনয়ের সুরে ভাই,শুধু একটি কথকতা।
মানুষ হিসেবে দাওগো আমায় বেঁচে থাকার স্বাধীনতা।
তোমাদের মত মননে মগজে আমি ওতো মানুষের মত।
বাক শক্তি হীন তাই বলে কী জন্তু আমি,মুখোশ পরিহিত!
তা না হলে উপহাস অপবাদ,না করে একটু ক্ষতি।
গলা টিপে স্বপ্ন পুর বানাও,এই জীবনের বসুমতী!
সহমর্মিতার সংবেদন।
বিঃদ্রঃ এই কবিতাটি সম্পূর্ণ আমার স্বরচিত লেখা,এবং সংরক্ষিত কবিতা।
এটা কপি,কিংবা নকল আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।