তুমি এমনিতে পয়গম্বরদের মতো স্থির নও।
একদিন বিকেলে বালুকাবেলায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে যখন তাকিয়ে ছিলে,
তোমার চাহনিতে আমি আমার জীবনানন্দ পেয়েছি।
সূরা নূরের রহস্য না বুঝলেও তোমার গাঢ় উপস্থিতি -
জ্যোতির মতো,স্নিগ্ধতার মতো,নিঃস্ব মানুষের হাতে আসমানি হাদিয়া জোটে যাওয়ার মতন-
আমার কাছে পরিস্ফুট হয় অনাড়ম্বর কোনো গল্পের আকারে।
আমি লতিফার দীর্ঘ আবেশ-
আর চোখের সামনে পুলসিরাত অতি সহজে,
আলোর বেগে পার হয়ে যাওয়ার স্বপ্নে আত্মগোপন করি।
মিজানে আর হাশরের ব্যাপারে সুসংবাদ তখনও পাই নি।
জড়তার পাহাড়ে দ্বিধার সন্ধিতে আমার গায়ে জ্বর উঠে যায়।
ঘোরের ঘরে তোমার স্পর্শ আরও গভীর হয়।
বালুকাবেলা অতিক্রান্ত।
এখন বাস্তবেই আমরা পৌঁছে গেছি প্রলয়ের কাছাকাছি সময়ে।
স্থানের ঊর্ধ্বে।
কোয়ার্ক গ্লুকন প্লাজমার মতোই অনেক শক্তিকে অস্তিত্বে নিয়ে।
বেহেশতিদের রঙ আর শাস্তিপ্রাপ্তদের অনুতাপ আমাকে আলোড়িত ও বিচলিত করলেও-
তোমায় আমি নিশ্চল আবিষ্কার করি।
আমি মায়ায় পড়ি তোমার কিংবা বিভ্রমে।
ঘোরের ঘরের টাইলসের ফ্লোরে তোমার পায়ের নূপুর পড়ে থাকতে দেখে-
শিশুকালে লাগানো পাকুড় গাছের ছায়ার
সনাতনী কাব্যের সাথে জুড়ে দেই।
রাত হলে আঁধারের সীমানাজুড়ে
আলোর কম্পান্বিত অভিব্যক্তি-
আমার সমাজকে করে সমাজতান্ত্রিক-
আর রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক।
মনে পড়ে সেই স্মরণার্হ আয়াত-
'আল্লাহু নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্'
মাথামোটা আমি আর রহস্য ভাঙতে চাই না;ক্লান্ত হয়ে।
তাঁর নূরের মহিমায় তোমার বদনও রঞ্জিত হোক।