কেউ জানে না রাত ফুরোবার গল্প এসে রোজ জমা হয় অন্ত্যমিলে,
কখনো বা জমে যাওয়া কথাগুলোয় ভুল সময়ের অর্থ মিলে,
কখনো বা বান না ডাকা জোয়ার এসে নতুন কোনো জীবন খোঁজে,
কেউ জানে না মায়াদেবীর সন্ধ্যাতারা আর জ্বলে না মন-আকাশে।

মুসাফিরের রাত্রিগভীর ক্লান্ত সফর শেষ হয়ে যায় কাতরতায়।
আধুনিকী কবিতা লেখে আপন মনে যানবাহনের জমাটবাঁধা অস্থিরতায়।
ডাকপিয়নের বিলি চিঠি সেই খবরটা গোপনই রাখে নিরবতায়,
আধোমুখের মিহি চোখের ঘাইহরিণীর স্বপ্ন আঁকে প্রণয়কুমার আকুলতায়।

কেউ জানে না প্রেমের ভাষায় কণ্ঠ জাগে অভ্যাগতের চোখের জলে,
যার চুলেতে মেঘবতীদের কৌতূহলী রৌদ্র ডানায় নিয়ন দোলে।

শহর ছেড়ে আর কতকাল দ্বিপ্রহরে সূর্য উঠে!
আর কতদিন তাকে ছাড়া একলা আমার জীবন চলে!

আর কত রাত কেউ না জানা অচিন সুরে গাইবো গান একান্তরে,
কেউ জানে না লাশের মতোন আত্মা আমার ঝিমিয়ে পড়ে।


পরলোকে চলে যাওয়ার অভিমানে প্রেমহীনতার গণ্ডি ছেড়ে-
কেউ জানে না প্রয়াতদের মিছিল আমার আকুঞ্চিত সত্তা নাড়ে।
কেউ জানে না কোলাহলে বিষাদ আমার আরও বাড়ে নিয়ম করে,
সুদ-মুনাফার নিয়ম মেনে দিনগুনা ঋণ শেষ না হলেও নতুন কোনো ভোরের পরে-
তোমার আমার স্বপ্নঘেরা জীবননদী হঠাৎ যেন শুকিয়ে মরে,
কেউ জানে না, কেউ থাকে না নিজের পরম 'আপন' বলে।