সখী কে-বা,
কার কুঞ্জে তুমি ছড়ায়েছ বকুলের ফুল,
লুকায়ে থাকিয়াও পরান আমার
হইয়াছে অধীর ব্যাকুল।
তাইতো আসিলাম ছুটিয়া দেখিতে
কেমনে কুঞ্জ রাঙে সাত পাকে,
দেখিতে বড়ই সাধ জাগে সই
কেমনে তুমি অন্য জনে সপিয়া ধর নিজেকে।
তোমার হাতে শুভ্র বকুল
পূজার প্রতীক্ষায় আছে কোন এক দেবতা,
পূজা নয়, পরবের প্রতীক্ষায় ছিলাম
অদূরে দাঁড়ায়ে কুঞ্জ দেখিয়াছিলাম,
কখনও কি জানিয়াছিলে তা!
জানো না'ই সখি
শুভ্র বকুল দর্শন করিবার পরে,
কারও হাতের শ্বেত জবা গুলো
রক্তজবা হইয়াছিল চিরতরে।
জবার তো আর সুবাস হয়না, তাই
ব্যাকুল হবে না কখনও কেউ
ভেবো না সখী সেই রক্তজবা,
অমাবস্যায় হয়ত পূজিবে তার দেবীকেও।
কিন্তু এই হাত তো রক্তজবা নিতে চাইতো না,
এই হাতেই হয়েছিল শুভ্র বকুলের সৃষ্টি,
তবে আজ কেন রক্তজবা!
কারণ বকুল আজ সমর্পিত, আর
বকুলের উপর অন্য দেবতার দৃষ্টি।
শয্যা শিয়রে রাখিও বকুল
করিতে দেবতারে তুষ্ট,
দেবতা তোমার শুভ্রতায় আর ঘ্রাণে আকুল
ফুরায়ে গেলে যদি হয় রুষ্ট!
কাঁদিয়ো না সেদিন সখী
অন্তরে না হয় যেন রক্তক্ষরণ,
আসিও অমাবস্যায় আমার বাটে,
রক্তজবায় পূজিব তোমারে,
ছোট্ট কুটিরে দেবো দেবীর আসন।