প্রেম,
সে তো মন্দ লোকে করে,
ধারণাটা এমনই ছিলো।
কিন্তু কে জানত
প্রেমে পরব আমিও।
সকাল তখন কেবল শুরু,
চেনা সেই পথ ধরে
যাচ্ছিলাম নিত্যদিনের মতো,
সাথী ছিল সেই বাইসাইকেল।
হঠাৎ একটা বল এসে পরল সাইকেলের ঝুড়িতে
দাড়ালাম আমি, তাকালাম পেছন ফিরে,
সেই রং ছাড়া বিল্ডিংটার বেলকনিতে
প্রথম দেখেছিলাম তাহারে।
নারিকেল গাছের ফাঁক দিয়ে দেখেছিলাম তাকে
দেয়ালে হেলান দিয়ে দাড়িয়েছিল সে।
কিছু বললাম না,
বলটা ফেরত দিয়ে চলে গেলাম।
দিন শেষে সন্ধ্যা হলো,
মনে হলো সকালের কথা,
চোখে ভাসছিল সেই মায়াবী চোখ,
আর হলুদ জামায় সেই সোনালী গায়ের রং।
তখনও বুঝিনি ওটা প্রেম।
পরদিন আবার যাচ্ছিলাম সেই পথ ধরে,
অজান্তেই চোখ পরলো সেই বেলকনিতে।
কেউ ছিল না, দেখিতে পাইনি তারে_
চলে গেলাম,
কিছুই ভালো লাগেনি সারাদিন।
বিকালে ফেরার পথে,
অনেকটা পাগলের মতোই খুঁজিতেছিল তাঁরে।
খোলা চুলে তখন ছাদে বসেছিল সে,
শান্ত হয়েছিলাম সেই দেখাতে,
তখন বুঝলাম ওটা পাগলামি নয়,
প্রেমে পড়েছি আমি,
ভালোবেসেছি সখী রে।
সেও চেয়েছিল আমারে সেদিন
আমি বধ হয়েছিলাম গুরু,
তখন থেকেই সেই চেনা পথে
আবার নতুন করে চলা শুরু।