পাহাড় মেঘকে খুব ভালোবাসে
গভীর প্রেমে তারা নিমগ্ন।
তখন পাহাড়ের রং ছিল সাদা
আর মেঘের রং ছিল লাল।
পাহাড়ের ছিল না কোন বৃক্ষরাজি
একদিন পাহাড় মেঘকে ডেকে বলল,
"সবুজ হতে ইচ্ছে করে আমার,
আশ্রয় দিতে চাই বৃক্ষরাজিকে,
ধারণ করতে চাই প্রেমের শুরু আর নিমগ্নতাকে"
আমার মাঝে গোলাপ থাকবে, জবা থাকবে,
তোমার খোঁপায় জবা দিব
আর হাতে দিব গোলাপ।
মেঘ তখন বৃষ্টি হয়ে নেমে এলো পাহাড়ের বুকে
সাদা পাহাড়টা সবুজে ভরে উঠলো।
সবুজের মাঝে ফুটল শ্বেত গোলাপ
আর শ্বেত জবা।
মেঘ আর পাহাড় ঠিক করল
এখন তারা বিয়ে করবে।
কিন্তু হঠাৎ করে বজ্র এলো
মেঘের আঁচলে হেঁচকা টান দিয়ে
মেঘকে তার রথে তুলে নিল।
তখনই মেঘ তার বুক চিরে রক্ত ঢেলে দেয়
আর বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পাহাড়ের বুকে।
মেঘের রক্তে লোহিত ছিলো সেই বৃষ্টি,
সাদা পাহাড়ের মাটি লাল হয়ে উঠলো।
শ্বেত গোলাপ আর শ্বেত জবা
রক্তিম বর্ণ পেল।
মেঘের সঙ্গে বজ্রের বিয়েটা তো হয়ে গেল ঠিকই
কিন্তু মিলন হলো না কখনই।
এখনও মেঘের কাছে বজ্র আসে,
আর মেঘ বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পাহাড়ের বুকে।
আর পাহাড়!
সে ওতো আর ধারণ করতে পারে না
এক অবৈধ ভালোবাসাকে।
পাহাড়টা তখন বুক চিরে কান্না করে,
আর কান্নার সেই জল ধর্ণা হয়ে
পাহাড়ের বুক চিরে সমুদ্রে বিলীন হয়।
ধীরে ধীরে পাহাড়ের বুকে আরও কষ্ট জমে,
পাহাড়টা আরও উঁচু হয়, যেন
আরেকটু কাছ থেকে মেঘকে দেখতে পারে।
মেঘ এখন রক্তশূন্য,
সাদা মেঘ উদাস হয়ে সারা আকাশ ঘুরে বেড়ায়,
খুব কাছ থেকে পাহাড়টা মেঘকে দেখে,
কিন্তু ছুঁতে না পারার যন্ত্রণায়
বুক ফেঁটে এখনও কান্না করে।
অন্যদিকে,
পাহাড় আর মেঘের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে
আজও বেঁচে আছে গোলাপ-জবা।
এখনও ভালোবাসার প্রথম উপহার হয় লাল গোলাপ,
আর প্রেমিকার খোঁপায় উঠে রক্তজবা।