আমি স্বাধীন, আমি বিপ্লবী বীর,
আমি নই বোবা, অন্ধ-বধির
আর কতদিন থাকব চক্ষু কর্ণ বুজিয়া,
সময় এসেছে বিপ্লব করার, বজ্রকন্ঠ উঁচিয়া।

চেতনার নামে করেছ স্বদেশ বিক্রি
টাকা পাচার আর দুর্নীতি,
অনেক করেছ লুটপাট আর
অনেক ইতিহাস বিকৃতি,
স্বাধীনতা পায়নি বাংলার মানুষ
পেয়েছে শুধুই স্বীকৃতি।

দেশের সীমান্তে কেন বিদেশি সেনার বাস?
চোখে ভাসে আজও
কাঁটাতারে ঝুলানো ফেলানীর লাশ।
আমার টাকায় কেনা গুলি
আমার বুকেই ঢুকে
আমি আজ বিপ্লবী,
সাধ্য নাই কারও আমারে রুখে।

চেয়েছিলাম আমি ন্যায্য পাওনা
আমার অধিকার,
বিনিময়ে পেলাম বুলেটের আঘাত
হয়ে গেলাম রাজাকার।
ক্ষমতার পা চাটতে গিয়ে
দিয়েছ বিবেকের বলি,
আমায় বল রাজাকার, আর
নিজেকে বল বাঙালী।

তোমরা যারা আজ বাঙালী
আসো আরেকবার হোলি খেলি,
রক্ত না হয় আমরাই দিলাম
তোমারতো হলে কেনা গোলাম।

রক্ত অনেক দিয়েছি আমরা
করি না প্রাণের ভয়
বহু শতকের ইতিহাস সাক্ষী
রক্তের হয়েছে জয়।
রক্ত দিয়েছি চাষের জন্য
নীল চাষ ছেড়ে ভাতের জন্য,
রক্ত দিয়েছি ভাষার জন্য
মাতৃ ভাষায় মা ডাকার জন্য,
রক্ত দিয়েছি মাটির জন্য
হায়নার থেকে মুক্তির জন্য,
রক্ত দিয়েছি অধিকারের জন্য
বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য।

বারবার বদলেছে মুনিব, কিন্তু
মানুষের ভাগ্য নয়
কিছু একটা বলতে গিয়েও বলা হয় না,
এর নাম স্বাধীনতা নয়।

স্বাধীনতা তুমি কবি নজরুলের মতো
বিদ্রোহী কবির সৃষ্টি,
স্বাধীনতা তুমি দুগ্ধ শিশুর
ক্রুদ্ধ নয়নের দৃষ্টি।
স্বাধীনতা তুমি রক্তভেজা জামা হাতে
শহীদ মাতার গর্বে ভরা শোক,
স্বাধীনতা তুমি আবু সাঈদের
বিশ্বাসে ভরা বুক।

আমি বিপ্লবী,
আমি আমার মায়ের অহংকার
প্রতি প্রজন্মে আমি জন্ম নেই একবার।

আমিই নজরুল, আমিই ক্ষুদিরাম,
আমিই বনলতা সেন,
আমিই তুফান, আমিই ধ্বংস,
আমিই মহাসেন,
আমিই অবাধ্য, আমিই বেয়াদব,
আমিই প্রীতীলতা,
আমিই বিদ্রোহী, আমিই মহাকাল,
ছিনিয়া আনিব স্বাধীনতা।

আমি বিপ্লবী,
আমি শিখায়ে যাব পরের প্রজন্মকে
অধিকার আদায়ে পিছপা হবে না
বজ্রকন্ঠে জাগিয়া উঠিবে
ধ্বংস করবে সব অন্যায়কে।