সন্ধ্যা নামার পরে
চাঁদ তারাদের আবছা আলোতে
কি ভাবিতেছ সখী মনে
বসিয়া নিভৃতে কাননে?
ভাবি না সখা,
কষিতেছি অঙ্ক
পাই না কূল কিনারা
মেলেনা হিসাব।
কি অঙ্ক তুমি কষিতেছ সখী
মায়া মুখখানা মনে হইতেছে জনম দুঃখী!
ভাবিতেছি সখা
বসিয়া নিভৃতে একা,
কি আছে তাহার মাঝে,
তুমি সোজাসুজি তাকাও চোখের দিকে
অনেক্ক্ষণ চেয়ে থাক
পলক পরে না,
কি দেখ অমন করে?
সখী রে,
চোখ তো নয় যেন
দু'টি পাতার ফাঁকে এক জোড়া কদম,
তাকিয়ে থাকি অপলক
ভাবতে ভালো লাগে
ওই কদম জোড়া কেন এত মায়াবী,
কি আছে ওই চোখে
আজও আমি বুঝিনি।
সখা, প্রাণ সখা আমার,
কে সেই রমনী
যার আছে আমার চেয়ে বেশি?
সে কোনো রমনী নহে সখী,
সে যেন এক গুচ্ছ পদ্ম পাতার উপর বসে থাকা
পেন্সিলে আঁকা একটা পরী।
তাঁকে রমনী বলে
তার কদম জোড়ার অপমান করো না।
কে সেই দর্শিনী
যে কেড়েছে তোমার মন,
করেছে তোমায় পাগল?
সে এমন একটা পরী, দর্শিনী,
আমার আকাশে মেঘ জমলে
যদি সেই মেঘে বৃষ্টি হয়,
তাহলে তাঁর কদম জোড়া
সেই বৃষ্টিতে স্নান করে।
সে কেড়েছে আমার মন, মনোযোগ,
নিয়ে গেছে আত্মসত্তা
আর দিয়ে গেছে একরাশ অভিযোগ,
ভালো না বাসার।
ওহে সখা,
এতো ভালো বাসো যারে,
কি চাও তার কাছে
ভালোবাসার বিনিময়ে?
কিছুই না সখী,
ভালোবাসায় কোনো চাওয়া পাওয়া থাকিতে নাই
তাহলে ভালোবাসাও হয়ে যায় স্বার্থপর।
নিস্তব্ধ আমি সখা তোমার কথা শুনিয়া,
রাখিও তাঁরে সারাটি জীবন, বাহুডোরে বাঁধিয়া।