হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
তুমি শ্রেষ্ঠ নায়ক তুমি মহাবীর।
কালজয়ী বাংলার -
স্বাধীনতা নামে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবির।
তুমি তো মহা পন্ডিত করেছ রচন
বাংলা স্বাধীনতার কাব্য,
ইতিহাসে লিখেছ নাম
আনি আছো সোনার বাংলা
রুপ দিয়েছো নব্য।
তুমি তো উন্নত উঁচু শির
সারা বিশ্বের বিস্ময় শত যুগের শ্রেষ্ঠ মানব।
তুমি হটিয়েছ ভিলেন রুপি-
পাক হানাদার পশ্চিমা দানব।
তুমি নির্ভয় তুমি ছিলে জলন্ত অগ্নি
দূর সাহসী দুর্জয়।
তুমি মৃত্যু কে করনি স্মরণ
অন্যায় কে করনি বরন
তোমার বুকে ছিল সাহসের অফুরন্ত সঞ্চয়।
কখনো তো হটোনি পিছু পা
আসিলেও মরন বাধা-বিঘ্ন যাই হোক।
তুমিতো বাংলাবর তুমি তো শ্রেষ্ঠ নায়ক....,
সেই ৭ই মার্চের রক্তঝরা অগ্নিদাহ
রেসকোর্স ময়দানের সিংহ গর্জন হুংকারে।
কাঁপিয়ে ছিলে আকাশ মাটি
দিক দিগন্ত কম্পিত হল থরে থরে।
আজ ও দখিনা জানালা খুললে বায়ুর কাছে শুনি।
সেই বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর অগ্নিঝরা মুক্ত জয়ধ্বনি।
হে মহামানব হে চির অম্লান-
তুমিতো বীরপুরুষ জন্মভূমি বাংলা মাত্রির।
তুমিতো শ্রেষ্ঠ নায়ক তুমি মহাবীর।
তুমি কবি তুমি সাধক
তুমি বাংলার চির সবুজের বুকে
ঊষার প্রভাতে রক্তাক্ত রবি।
তুমি মহা বিশ্বের মানচিত্রে
নিজের স্থান নিয়েছে গুটে
এঁকে দিয়েছে সবুজ বাংলার ছবি।
তুমি লাল সবুজের আকাশে উড়িয়েছে শান্তির কেতন……
যত অন্যায় গ্লানি নির্বিচার দূর শাসন
অশান্তি অনিয়ম করেছ নিস্তার
ঘটিয়েছ বেদুঈনের পতন।
তুমি ছিলে সাগর তরঙ্গ মরুভূমির অগ্নিগিরি
পাহাড় এর নির্ঝর
তুমি ছিলে বজ্রপাত।
তুমি ছিলে দেশের বাহক
দশের বন্ধু মাটির উদারতা
তুমি ছিলে কোটি বাঙ্গালীর শান্তি আনিতে উন্মাদ।
আর কি কভু হবে বাঙালি ফিরে পাবে
এমন সোনার মানব দুর্দান্ত রণবীর।
তুমি তো শ্রেষ্ঠ নায়ক তুমি উঁচু শির.....!
যুগান্তরে জাত কাল গোষ্টি পাত্র ভেদিয়া ..
মিলবে না এমন মানব ধরায় আর খুজিয়া।
এসো এসো হে মহা মানব
জাতির দুঃখ মুছিতে আরেকবার ফিরিয়া।
আজও কত স্মৃতি ভাসে
বাংলার আকাশে বাতাসে
হে জনক তোমায় নিয়া।
তুমি মহা শিল্পী সুনিপুণ কারুকাজ
স্বপ্নের মত সাজিয়ে এঁকেছ
রূপময় বাংলার ছবি।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা
তোমার রক্ত দিয়ে করেছ মজবুত খুবই।
মহাযুগের এই যাত্রা পালায়
রঙ্গমঞ্চে তোমার চরিত্র এক অবিন্যাস ছায়ালোক।
তুমি জাতির তুমি গোষ্ঠীর
তুমি বাংলার তুমি সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ নায়ক।
লিখেছিঃ ২৮/৮/১৮
রোজ মঙ্গলবার দুপুর তিনটা মরিসাস সময়।