পিপাঁসায় কাতর
৩১-১০-১৩

কে আছো গৃহে গৃহকর্তা।
শোনো আমার এই আগমনী বার্তা।
আমি এক পথিক পিপাসায় কাতর।
দিবে কি একটু জল ডুবাইতে অধর।
একটু খানি দাড়াও বাপু দেখি,
লোক সংখ্যা কম জল আছে নাকি।
এতটুকু জল নেই গৃহে আর।
যা আছে সব মিনারেল ওয়াটার।
দয়া করে যাও একটু পাশালয়,
ওরা জল দিতে পারে তোমায়।
কে আছ এই আলায় খুলে দাও দ্বার,
ভিতর থেকে সারা নাই আসে আর।
নাই বুঝি লোক দরজা বন্দ।
একটু খানি জলের লাগি লেগে গেছে দন্দ।
না খেয়ে জল থাকবে না পথ চলা,
একে বারে শুষ্ক হয়ে গেছে গলা।
একটু খানি হেটে পথিক তার।
দেখিতে পায় ছিন্ন এক কুরের ঘর।
ডাকিয়া বলে কে আছ রমনী,
শোন, শোন আমার এই বানী।
আমি এক পিপাসি পথচারি,
দয়া করে দিবে একটু বারি।
চিড়া গুর দিয়ে বলে থাকুন একটু বসি।
ঘরে নেই জল শুন্য মোর কলসী।
নয় বেশি দুর নয় বেশি দেরি,
তিন মোড়ের পারে মাঝি বাড়ি।
কিছুখন থাকুন দেখিয়েন গৃহ
আমি একা নেই যে মোর কেহ।
আর কত দেরি বেলা বয়ে যায়।
তবু গৃহ বধু নাহি ফিরে আয়।
শুষ্ক গলায় শুকনো চিড়ে,
পিপাসা আরো যায় বেড়ে।
বেলা ফুরিয়ে এলো সন্ধ্যা,
ফিরে এলো বধু নাছর বান্দা।
শুধুই শূন্য কলসি নেই জল।
বড়ই দুর্ভাগ্য, জলজ বিকাল।
শত চেষ্টায় হলোনা পিপাসা নিবারন।
এ কোন পরিক্ষা না জানি কারন।
থেকে আর লাভ কি তবে পথ চলি।
পিপাসায় মোর  হৃদয় গেলো জ্বলি।