মা দুঃখিনী
৩০-১১-১৩
দশমাস দশ দিন যে রমনীর উদরে,
রক্ত মাংশ খেয়ে উঠেছ বেড়ে।
পিড়ন যন্ত্রনায় মাতা হয়েছে দিশে হারা
গোপনে গোপনে তার বয়েছে অশ্রু দ্বারা।
বরন্ত শিশু যখন মেরেছে দরে লাথি,
কষ্টের মালা রেখেছে মা হৃদয়ে গাথি।
সুখের স্বর্গে বাস।
কষ্টে ভুগেছে মা দশ দিন দশ মাস,
এক দিন উদার ছেরে এলে ধরনীর বুকে।
কান্না নিবারনে মা দুগ্ধ দেয় মুখে,
নব জাত শিশু টেনে নেয় কোলে।
প্রশাবের শত বেদনা গিয়াছে ভুলে।
কোথা ছিলে কোথা তুমি এলে,
অবাক দৃষ্টিতে মা দেখে আখি মেলে।
মাটিতে ফেলে কভু রাখেনি তোমায়,
কাঁন্নার শব্দ পেলে ঠোটে গালে চুমায়।
কত যে কষ্ট করে যায় মা দিনে রাতে,
ভিজায় শুয়েছে মা তোমায় রেখেছে শুকনাতে।
কভু যদি ভিজে যায় একুল ওকুল সকল,
না পেয়ে মা কেন গতি পেতে দেয় আঁচল।
তবুও মা দুঃখে।
পায় খুজে শান্তি, তুলি নিয়ে বুকে।
জগৎ মাঝে পাবে কি খুজে এমন দরদী।
যে নিজের সুখ ছেড়ে তোমার সুখ দেয় বাঁধি।
যদি সন্তানের কভু হয়ে যায় ব্যাধি।
মায়ের কত দিন কেটে যায় কাঁদি।
খোদার তরে মা তোলে দুই হাত,
সন্তান মোর ফেলে যাও করি ফরিয়াত।
দিওনাকো মরন,
তার বদলে তুমি নিয়ে যাও মোর জীবন।
মা দুঃখিনী গর্ভ ধারিনী মনি মহারত্ন।
দিয়েছে কত আদর সোহাগ করেছে কত যত্ন।
যে মায়ের স্থন করেছ শূন্য।
তার পরিতৃপ্তিতে দেহ হয়েছে পূর্ণ।
ধীরে ধীরে তুমি হতে থাকো বড়
হে মহান প্রতি পালক দয়া তুমি করো।
সন্তান যেন মোর চির সুখি হয়,
চির জীব করো তারে মোর জীবনের বিনিময়।
কত আদর স্নেহ।
মা বিনে জগতে এমন নাহি করে কেহ।
সন্তান যদি কভু নাহি কিছু খায়
শত ক্ষুধার যন্ত্রনা বুকে পোষে যেন মায়।
রাত্র গভির সন্তান যদি নাহি ফিরে
নিদ্রাহিন মা বসে থাকে শিয়রে।
কোলেতে রেখে মাথা থাকে নিশি জাগি।
নিজের কষ্ট যায় ভুলে সন্তানের লাগে।
সকাল বেলা কভু যদি পান্তায় পরে টান।
আগে সন্তানের পেট পুরে, পরে মা খান।
দিন কাটে দুঃখে,
মাথায় পানি, অন্ন দেয় সন্তানের মুখে।
এমনি করিয়া মা কত কষ্ট সয়।
বুকের মাঝে রাখে জমা কারো কাছে নাহি যায়।
নিরবে বুকে পোষে শত যন্ত্রনা,
সন্তান বুকে নিয়ে মুছে বেদনা।
হে জননী,
তোমার জন্য দেখেছি এই ধরনী।