আজ মোরে সবে করে দিয়েছে বিদয়।
ক্ষনিকের তরে চিরতরে নয়।

মোর বিদয়ে কাঁদে আকাশ,
বায়ু মোছে চোখের জল।
খোপের কপতি ডেকে বলে,
ফাঁকি দিবে কত কাল।
গোয়ালে গরু নিশ্বাস ছারে,
মিলে আছে অপলক দুই দৃষ্টি।
মানব কূল করে হাহাকার।
একি আজব কান্ড করলি সৃষ্টি।
মোর বিদয়ে বনো তরু ফুল
হয়ে আছে স্থাব্দ।
নদীর পানি হয়েছে কাতর
করেনা কোন শব্দ।

গাঁয়ের মেঠোপথ হাতছানিতে ডাকে,
ফিরে এসো আবার মোর বুকে।
যেওনা ভূলে সবুজের ছোয়া,
নগর জীবনের সুখে।
মায়ের মুখ পানে চাই
দেখি চোখ দুটি জলে ভেজা।
পিতার হৃদয় পুরে যায়
তবু উপরে তাজা।
বোনের দিকে ছুটে যায় দৃষ্টি,
সুকিয়ে গেছে ওদের মুখ।
ঢালুর ঢুলুর চায় মুখ পানে,
ফেটে যায় মোর বুক।

পথের দুর্বা ঘাস ডেকে বলে,
কে ভাঙ্গিবে মোর শিশির।
বাড়ির আঙ্গিনার ধূলো
বুকে বেধে পাষান হয়েছে অশির।
খেলার সাথিরা মোর
দুকে দুকে সবাই মরে।
যাও চলে যাও দুরে,
আবার আসিবে কবে ফিরে।
গ্রাম খানি মোরে ডেকে বলে বাচা
গায়ো জীবন তোর শেষ।
ছোট থেকে বড় হয়েছে এই খানে,
কাটিয়েছ বড় বেশ।

মুখটা মলিন দুচোখে অশ্রু
বলিনি কিছু মুখে।
হৃদয় কাতর ভরা ভাদর
বইছে দ্বারা চোখে।




১৮- মে - ২০১২ সনে প্রবাসে পারি দেবার সেই করুন মূহুর্তে
রচিত।